মোঃ মোক্তাদির হোসেন
দেশবাসীকে বাংল নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক প্রথম সূর্যোদয় পত্রিকার গাজীপুর, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি,আজ শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব গাজীপুর কালীগঞ্জ উপজেলার সাধারন সম্পাদক মোঃ মুক্তাদির হোসেন বলেন, জাগতিক নিয়মের পথ পরিক্রমায় বছর শেষে আমাদের মধ্যে আবার এসেছে নতুন বছর- ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। সবাইকে নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ।মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস চলছে। আমি সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কে পবিত্র মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, এ ভূখণ্ডের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক এদেশের বাঙালি জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক এবং অভিন্ন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উদযাপন এখনও স্বমহিমায় টিকে আছে। সারা বছরের ক্লেদ-গ্লানি, হতাশা ভুলে এদিন সব বাঙালি নতুন আনন্দ-উদ্দীপনায় মেতে ওঠেন। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এই গান গেয়ে আমরা গ্রহন করি নতুন বছরকে।তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। আবহমানকাল ধরে বাংলার গ্রামগঞ্জে, আনাচে-কানাচে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। গ্রামীণ মেলা, হালখাতা, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন ছিল বর্ষবরণের মূল অনুষঙ্গ। ব্যবসায়ীরা আগের বছরের দেনা-পাওনা আদায়ের জন্য আয়োজন করতেন হালখাতা উৎসবের। গ্রামীণ পরিবারগুলো মেলা থেকে সারা বছরের জন্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র কিনে রাখতেন। গৃহস্থের বাড়িতে রান্না হতো সাধ্যমতো উন্নতমানের খাবারের। নতুন বছর উজ্বল হয়ে উঠুক নতুন আলোয়, নতুন আশায়। শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।’’
মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব,কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট