জরুরি সেবা -৯৯৯ এ কল করে উদ্ধার
:গাইবান্ধা সদর উপজেলায় হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এতে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একটি ঘরে আটক করে রাখা হয়। পরে জরুরি সেবা – ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের গিদারি গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ও স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী ও তার ভাইসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় তারা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ (২১) সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের তরফবাজিত গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের গিদারী গ্রামের মধু শেখের ছেলে নবিকুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দেয় স্বামী নবিকুল ইসলামসহ শশুর বাড়ির লোকজন। এনিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে নির্যাতন করা হতো। ঈদের পরদিন ওই নারী বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়।
বৃহস্পতিবার দুপরে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যায়। এসময় প্রথমে স্বামী নবিকুল ও তার বড় ভাই মোজাম্মেল যৌতুকের টাকা চেয়ে তাকে গালমন্দ করতে থাকেন। পরে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন নবিকুলের অপর ভাই শফিকুল ইসলাম, মা আছিয়া বেগমসহ পরিবারের লোকজন।
এরিএকপর্যায়ে তারা তাকে বেদম মারধর ও নির্যাতন শুরু করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে একটি ঘরে আটকে রেখে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর আহত নারীর চিৎকারে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন ৯৯৯ ফোন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদার রহমান জানান, ৯৯৯-এ কল পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পুলিশ অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যায় স্বামী নবিকুলসহ অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট