আসন্ন কোরবানি ঈদে চাহিদার তুলনায় যশোরে পশুর সরবরাহ বেশি রয়েছে। চাহিদার তুলনায় জেলায় সাড়ে চার হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি থাকায় দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।তারা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরণে ব্যয় বেড়েছে অনেক। সে অনুযায়ী দাম না পেলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে যশোর জেলায় গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৯১ হাজার ১৮৮টি। এরমধ্যে গরু ২৭ হাজার ৯৫৫টি, ছাগল ৬২ হাজার ৬৭৬টি ও ভেড়া ৫৫৭টি। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৯৫ হাজার ৭১০টি গবাদিপশু। এরমধ্যে গরু ২৯ হাজার ১৭০টি, ছাগল ৬৫ হাজার ৯৮৩টি এবং ভেড়া ৫৫৭টি। উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৫২২টি। এরমধ্যে ১ হাজার ২১৫ গরু ও ছাগল ৩ হাজার ৩০৭টি।
সূত্র আরও জানায়, যশোরের ৮ উপজেলায় মোট ২১টি পশুহাট রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে পশুহাটগুলোতে ২৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ পশু যাতে হাটে বিক্রি না হয় তার দেখভাল করবে টিমগুলো।
যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের খামারি জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি কোরবানির জন্য পাঁচটি গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন। প্রতিদিন একটি গরুর পেছনে তার ব্যয় হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা করে। তিনি জানান, গতবার চাহিদা অনুযায়ী পশু বিক্রি করতে পারেননি। তবে করোনা না থাকায় এবার ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন।অভয়নগর উপজেলার মশরহাটি গ্রামে পরশ অ্যাগ্রো লিমিটেড খামারে রয়েছে ২০২টি গরু। কোরবানির পশুহাটে গরুগুলো বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা বাণিজ্যিকভাবে গরু লালন-পালন করি। আমাদের খামারের সব গরু দেশি প্রজাতির। ক্রেতাদের পছন্দ হওয়ার পর আমরা দরদাম করে গরু বিক্রি করবো।খামারিরা বলছেন, গত দুবছর করোনার মধ্যে কোরবানি ঈদ গেছে। ফলে লকডাউনসহ অর্থনৈতিক কারণে কোরবানি কম হয়েছে। পশু বিক্রি কম হওয়ায় তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। এ বছর স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদ হতে যাওয়ায় খামারিরা আশায় বুক বাধছেন।এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক জানান, যশোর জেলায় এবার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে গরু-ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে কোরবানির পশুহাট শুরু হয়েছে। হাটগুলোর জন্য ২৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সুস্থ ও সবল পশু বেচাকেনায় সহযোগিতার জন্য টিমগুলো হাটে কাজ শুরু করেছে।
তাই আমরা আসা করি এবা কেউ গরু কিনে লোকসানেপড়বেনা। আবার কেউ বেশি লাভও করতে পারবেনা।আর যাতে করে কোন প্রকার অঘটন না ঘটে তার জন্য টিম গঠন করা হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট