ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকার শিশু ইয়ামিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার ফরিদ হোসেনকে র্যব-১এর সদস্যরা গ্রেফতার করেছে । গুলশান থানার নর্দ্দা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় । সে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার শানপুকুর গ্রামের মজনু হকের ছেলে। রূপগঞ্জ থানার এসআই শেখ মিরাজ আহমেদ বলেন, গত ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর ইয়ামিনের মা আমেনা বেগম তার প্রথম স্বামী ফিরোজ আলম মাসুমকে ডিভোর্স দেয় । পরে ইয়ামিনকে সাথে নিয়ে আমেনা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে এ হত্যা মামলার আসামি ফরিদ হোসেনকে।বিয়ের পর থেকে আমেনা বেগম ও তার দ্বিতীয় স্বামী ফরিদ হোসেনের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।একপর্যায়ে আমেনা বেগম তার দ্বিতীয় স্বামী ফরিদ হোসেনকে তালাক দেয় । ক্ষিপ্ত হয়েআমেনা বেগমকে শায়েস্তা করতে তার ছেলে ইয়ামিনকে হত্যা করতে সিদ্ধান্ত নেয় ফরিদ হোসেন। গত ১৫মে বেলা এগারোটায় বেড়ানোর নাম করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে মেরুল বাড্ডা থেকে ইয়ামিনকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদ হোসেন বের হয়। ওই দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফরিদ হোসেন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইয়ামিনকে কাপড়ের টুকরো দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। র্যাব-১ এর সিপিসি-৩ পূর্বাচলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী বলেন, ইয়ামিন হত্যাকান্ড আলোচিত হওয়ায় র্যাব সদস্যরা একটি ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করে । পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়উল্লেখ্য ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার পিতা ফিরোজ আলম মাসুম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট