আহসান হাবীব নাহিদ
স্টাফ রিপোর্টার :
৩১,গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি, এবং সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সাহারিয়া খাঁন (বিপ্লব)
সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৭৪,২৬৭ জন। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের ১৬৪ টি মৌজায় ভোটার সংখ্যা ২,৫১৮৮৯ জন যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা = ১,২৯,৯০০জন মহিলা ভোটার সংখ্যা = ১,২৭৯৮৯জন।
পলাশবাড়ী উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের ১৬০টি মৌজায় মোট ভোটার সংখ্যা = ২,২২,৩৭৮ জন যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা = ১,০৯,৯৮৬ জন মহিলা ভোটার সংখ্যা =১,১২,৩৯১জন ও তৃতীয় লিঙ্গ ১জন।
পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা হিসেবে সর্বস্তরের জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীর মাঝে পরিচিত অর্জন করেছেন তিনি।
ত্যাগী ও পরিশ্রমী এই নেতা ১৯৭৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরস্থ পশ্চিম পাড়ায় পিতা মরহুম ফরহাদ খাঁন মাতা মরহুম নূরজাহান বেগমের ঘরে কোল আলো করে জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৯০ সালে সাদুল্লাপুর বহমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি পাশ করে সাদুল্লাপুর ডিগ্রী কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়। কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৯৯২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৯৯২ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হয় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হয়।
তিনি তার বাবার বড় ভাই (জেঠা আব্বা) সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যু সাধারণ সম্পাদক মরহুম আসাদুজ্জামান খাঁন ফাঁকা মিয়ার হাত ধরেই জাতির পিতার আর্দশ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দ্বায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সহিত পালনের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীর মাঝে আস্থা বিশ্বাসের স্থান গড়ে তুলে হয়েছেন পরিচিত জননেতা বিপ্লব হিসাবে।
১৯৮৮ সালে সরাদেশে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন। সেই আন্দোলনে সারা দেশের ছাত্ররা একত্রিত হয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। সেই পরিষদের সর্বকণিষ্ঠ সদস্য হিসাবে সাদুল্লাপুর উপজেলা কমিটিতে তিনি যোগ দেন।
১৯৯১ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পর সরকার গঠন করে বেগম খালেদা জিয়া। মন্ত্রী সভায় স্থান নেয় দুই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলসামস্থ, মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদকে যার কারনে আবারো নতুন করে আন্দোলন দানা বেধে উঠে। এই আন্দোলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নেতৃত্ব দেই। ১৯৯৫ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী প্রহসন মূলক নির্বাচন প্রতিহত করার আহ্বান আসলে সাদুল্লাপুরের আপামর জনসাধারনকে সঙ্গে নিয়ে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পরি। রাজপথে তৎকালীন খালেদা জিয়ার পেটোয়া বাহিনী পুলিশ ও বি.জি.বির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে আমাদের আন্দোলনের সাথী নরসুন্দর শ্রমিক সোলায়মান হোসেন বোল্লা শহীদ হন। গুলিবদ্ধ হয় সঞ্জু, বক্কর, বাবু । প্রায় ১৪ টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় আমার নামে। সঙ্গে মামলায় জড়িত করা হয় সাবেক এমপি আবু তালেব মিয়া, আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক কাকা মিয়া, জাসদ নেতা সাদেক আলী, আনছার আলী সহ আরো অনেককে। পরিশেষে ১৯৯৬ সালের ৮ মার্চ খালেদা জিয়ার পতনের পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামলীগ সরকার গঠন করলে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয়।
১৯৯৯-২০০০ সালে আবারো বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতীক দল নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকার গঠনের আন্দোলন শুরু করলে সাদুল্লাপুরের আওয়ামী পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করি।
২০০৪ সালে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করি এবং আমি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতি নেই এবং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সাদুল্লাপুর এর সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তারপর একই সালে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে এক ভোটে পরাজিত হই। সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আসাদুজ্জমান খান ফাঁকা মিয়া মৃত্যুবরন করলে ২০০৪ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। দল তখন বিরোধী দলে। এসময় গাইবান্ধা জেলার সকল উপজেলা কমিটির সভাপতি/সম্পাদক গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের সভানেত্রীর সুধাসদনের বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি। মাত্র ২৮ বৎসর বয়সে দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় নেত্রী আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মীসমর্থক কে ধন্যবাদ জানান ও আমাকে দোয়া করে বলেন, যাও সাধারন মানুষের জন্য রাজনীতি করবে। এলাকায় গিয়ে সাধারন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যাও। এরপর ২০১৬ সালের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে দল মহাজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে। এই নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করি এবং মহাজোটের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
দলীয় সিদ্ধান্তে ২০০৯ সালে ৩য় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। দুর্ভাগ্যবশত জাতীয় পাটির এম.পি’র বিরোধীতায় প্রায় ১৯,৮২৩ ভোট পেয়েও পরাজয় বরণ করি।
২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এদেশের শত্রু যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধী লুণ্ঠনকারী রাজাকার, আলবদর, কাদের মোল্লার ফার্সী হলো। ২০১৩ সালের ১৩ই ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার জামাত বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ী মারপিট ও পেট্রোল দিয়ে আমাকেসহ আমার মটর সাইকেল পুড়ে দেওয়ার জন্য উদ্যত হলে আমার সঙ্গে থাকা ছোট ছেলের আর্তনাদে আগুন থেকে রক্ষা পাইলেও মাথাসহ শরীরে ১১৬টি সেলাই দিয়ে দীর্ঘদিন রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরি এবং ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনে দলের নিকট মনোয়ন চেয়ে, না পেয়ে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে অসুস্থ শরীরে সেলাই ব্যান্ডেজ নিয়ে নির্বাচনী মিছিল মিটিংসহ সেন্টার রক্ষা কমিটি ও অন্যান্য জাতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে প্রথম দফায় নির্বাচন শেষ করি। সেখানে প্রার্থী তার নিজ ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র রক্ষা করতে না পারায় ও ভোট না পাওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল স্বগতি হয়ে যায়। পুনরায় ১৬ই জানুয়ারীতে দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণের পর ডাঃ ইউনুস আলী সরকারকে এমপি নির্বাচিত করি।
তিনি আরো বলেন,২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে ডা: ইউনুস আলী সরকারকে মনোনয়ন দিলে সব কিছু ভুলে গিয়ে নেত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য জামাত বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের মাঝে ডাঃ ইউনুস আলী সরকারকে এম.পি নির্বাচিত করি।
২০১৪ সালের ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের তৃণমূল এর সমর্থন নিয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করি। নির্বাচনে প্রায় ৪৭ হাজার ভোট পাওয়ার পরের দলীয় এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকারের সরাসরি বিরোধীতায় আবারো পরাজিত হই। কেন্দ্রীয় নির্বাচন মনিটরিং সেলে যাহার তথ্য আছে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হই। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডাঃ ইউনুস আরী সরকারের পক্ষে মাঠে নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করি এবং ডাঃ ইউনুস আলী সরকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
রাজনৈতক কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। সাদুল্লাপুর ডিগ্রী কলেজ,সাদুল্লাপুর গার্লস ডিগ্রী কলেজ, সাদুল্লাপুর বহুমূখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সাদুল্লাপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাদুল্লাপুর উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে প্রতিষ্ঠান গুলির উন্নয়নে কাজ করেছি । এছাড়া সাদুল্লাপুর কেন্দ্রীয় গোরস্থান, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে আসছি।
২০২০ সালের জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তে দলের নেতাকর্মীগনকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি আপাকে বিজয়ের মালা পরিয়ে নেই। অদ্যবধি দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড প্রচার করে আসছি এবং তাহা ব্যাপক প্রসারের জন্য গণ সংযোগ অব্যাহত রেখেছি। আশাবাদী আগামীতে দলের কেন্দ্রীয় মনোনায়ন বোর্ডে আমাকে ৩১,গাইবান্ধা-৩(সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করলে এই আসনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে উপহার দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।
২০০৪ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৫ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমান সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এছাড়া আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের সেবক হয়ে আমার দিক থেকে সর্বাত্মক সেবা প্রদান করে আসছি। আমি আশা করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভা নেত্রী জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বিশ্বমানবতার মা ডিজিটাল বাংলার রূপকার স্মার্ট বাংলা গড়ার স্বপ্ন দ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, ৩১.গাইবান্ধা- ৩ আসনে আমাকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করে (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) বাাসীর জনসাধারণের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট