পাবনার চাটমোহর উপজেলার সাদা-কালো ডোরাকাটা ফিজিয়ান জাতের ৩৬ মণ ওজনের সেই ষাঁড় গরু ‘স্বপ্নরাজ’ কে নিয়ে স্বপ্ন পূরণ হলো না খামারী মোজাম্মেল হক বাবুর। স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় মন খারাপ তাঁর। যে গরুর দাম ২০ লাখ টাকা হাঁকিয়েছিলেন খামারী বাবু। সেই গরু বিক্রি করতে হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৫ হাজার টাকায়।পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বাঘইলবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের খামারী মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম ‘স্বপ্নরাজ’ কে নিয়ে। কিন্তু তা আর পূরণ হলো না। সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। খুব হতাশায় ভুগছি আমরা।তিনি বলেন, ঈদের আগে বাড়ি থেকেই গরুটি বিক্রি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু হয়নি। পরে ঈদের আগে মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) স্বপ্নরাজকে ঢাকার গাবতলী পশুরহাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাই। সেখানে কাঙ্খিত দাম না ওঠায় পরে বাধ্য হয়ে শেষ মুহুর্তে ঈদের আগেরদিন শনিবার (০৯ জুলাই) গরুটি মাত্র ৫ লাখ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেই। আর গরুটি ঢাকায় নেয়া থেকে শুরু করে মোট খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।দাম না পাওয়ার কারণ হিসেবে মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, আসলে এখন বড় গরুর চাহিদা মানুষের মধ্যে নেই। সবার পছন্দ মাঝারি ও ছোট সাইজের গরু। যেকারণে বিক্রি করে কাঙ্খিত দাম পাওয়া যায়নি। একবার কষ্ট করে খরচ করে ঢাকায় নিয়ে গেছি। আবার ফেরত নিয়ে আসতে ঝামেলা খরচ। সবমিলিয়ে চিন্তা ভাবনা করে লোকসান জেনেও বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।তিনি বলেন, স্বপ্নরাজ বিক্রি করে লাভ তো অনেকদূরের বিষয়। আমার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। অন্তত দশ লাখ টাকা বিক্রি ক তৈরী পালন করবো না। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু লালন পালন করে বিক্রি করবো। এতে বিক্রির দুশ্চিন্তা থাকবে না এবং লোকসান গুনতে হবে না।উল্লেখ্য, ছয় দাঁতওয়ালা স্বপ্নরাজ গরুটির ওজন ছিল অন্তত ৩৬ মণ। বিক্রির জন্য খামারী মোজাম্মেল হক বাবু দাম হাঁকিয়েছিলেন ২০ লাখ টাকা। তিনবেলা ১৭ থেকে ১৮ কেজি স্বাভাবিক সুষম খাবারের পাশাপাশি তিনবেলা নাস্তা হিসেবে আপেল, কলা, আঙুরসহ নানা ফলমুল খাওয়ানো হতো। আজ মোজাম্মেলেরসপ্ন একেবারেই ধংশ হয়ে গেছে। তার মতো আরো অনেকেই এরকম শমশ্ব্যায় পড়েছেন। তাই সরকার খামারিদের প্রতি একটু নজর করলে তারা এ লোকষান থেকে বাচতে পারে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট