আহসান হাবীব নাহিদ স্টাফ রিপোর্টার
সাদুল্লাপুর খোর্দ্দকোমরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদের ১১ সদস্যের অভিযোগ দায়ের
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১নং খোর্দ্দকোমরপুর ইউ পি চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম রেজওয়ান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে পরিষদের ৯জন পুরুষ সদস্য ও ২জন মহিলা সদস্যের পক্ষ থেকে ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম রেজওয়ান নির্বাচিত হয়ে পরিষদ গঠনের পর থেকেই নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে সকল ক্ষেত্রেই সরকারি সব কাজে দিক নির্দেশনা অমান্য করে পরিষদের সদস্যদের সাথে কোন রকম পরামর্শ না করে বেপরোয়া ভাবে ও অবৈধ ভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করিতেছে।
যাহার ফলে ইউনিয়ন বাসী বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়ন মুলক কাজকর্ম থেকে বঞ্চিত হইতেছে, যেমন, তার অনিয়ম, অসদাচরণ, দূর্নীতি ও আত্মসাৎ এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স এর নামে অর্থ আদায়য়ান্তে নিয়ম মাফিক ব্যাংকে জমা না রেখে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই সরকারী অর্থ ব্যাক্তিগত অর্থের মতো ব্যাবহার করে আত্মসাৎ করছে; যাহা তদন্তকালে প্রমান হইবে।
গত ঈদুল ফিরতরের সময় ভিজিএফ এর ৩৪বস্তা চাল আত্মসাৎ করে, হাট বাজারের পুরাতন ১০৫পিচ টিন এবং আইয়ুব আলী নামক রাস্তার মোড়ের উত্তর পার্শ্বে কালভার্রট এর ইট ও ৩নং ওয়ার্ডের ব্রীজের পুরাতন ইট নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাড়ীর বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুদানের শুকনো খাবার প্যাকেট কাউকে অবগত না করে একাই আত্মসাৎ করে, জ্বীনের বাদশার সাথে সংযুক্ত হয়ে, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণের কনটাক্ট নাম্বারে দিয়ে অভিনব কায়দায় মোবাইল নম্বর ০১৭৮২-৪৬০৩৮৪ ও ০১৭০১-৪২১৬৭৭ হইতে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।
নিজ বাড়ীতে পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হওয়ায় চেয়ারম্যানের লোকজন দ্বারা সদস্যদের হুমকি ধামকি ও লাঞ্চিত করে, সরকারি ত্রাণ সামগ্রী ভিজিডি, ভিজিএফ ও অন্যান্য বরাদ্দকৃত মালামাল আসলে পরিষদের বিধিমালা ও নিয়ম ছাড়াই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।
এমনকি প্রতি মাসে মাসিক মিটিং ও হয় না। স্থানীয় ভূমি উন্নয়ন কর ১%এর ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করিয়া নতুন আসবাবপত্র ক্রয়ের কথা বলে সদস্যদের নিকট হইতে রেজুলেশন করিয়া নেয়। কিন্তু ইউনিয়নের পুরাতন আসবাবপত্র দেখাইয়া উক্ত টাকা আত্মসাৎ করে, যাহা তদন্তকালে প্রকাশ পাইবে।
১১নং খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চার রাস্তার মোড়ে ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া শত বছরের ১টি পাকুড়ের গাছ কর্তন করিয়া বিক্রীত টাকা আত্মসাৎ করে।
পরে উক্ত বিষয়ে তার নামে সি আর মামলা হয়, যাহার মামলা নং ৫০/২৩ (সাদুল্লাপুর) মামলা চলমান আছে।
২নং ওয়ার্ড ফুলবাড়ী মৌজার ৬২০টি ইউক্লিপটার্স গাছ ওপেনে টেন্ডারের মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকা জামানত দিয়ে ঠিকাদারগণ সম্পন্ন করে। ডাকের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকা জামানত তিন লক্ষ টাকা ডাক গ্রহণ করে গাছ কর্তন এর পরে জামানতের টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করে। ফলে ঠিকাদারও সি আর মামলা দায়ের করে, মামলা নাম্বার ১২১/২৩ (সাদুল্লাপুর), মামলাটি চলমান আছে।
জন্ম নিবন্ধনে সরকারী নির্ধারিত ফি’র নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়।
গ্রাম আদালত থাকা শর্তেও তার কোন কার্যক্রম নেই। ভিজিডি এর সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে এখন পর্যন্ত সুবিধা ভুগীর ব্যাংক হিসাব নম্বর না খুলে আত্মসাৎ করছে।
উদ্যোক্তা থাকা সত্ত্বেও তাকে লাঞ্চিত করে বের করে দেয় এবং বহিরাগত লোক দিয়ে কাজ করানো হয়।
এসকল অভিযোগ জনস্বার্থ রক্ষায় দ্রুত তদন্ত করে এই বিতর্কিত চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম রেজওয়ান কে বরখাস্তের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান ঐ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা।
এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম রেজওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট