বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ‘ফতেমা’ নামের বিশেষ জাতের ধানের বীজ। এর ফলন দেখে খুশি কৃষকরা। তারা বলছেন এ জাতের ধানের ফলন প্রায় দ্বিগুণ। কৃষকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য ধানের শীষে ২৫০ থেকে ৩০০ ধান থাকে। কিন্তু ফতেমার শীষে থাকে ৬০০ থেকে সাড়ে ৭০০ ধান। ধানের শীষে গাছ নুয়ে পড়লেও ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ নুয়ে পড়ে না। গাছ খুবই শক্ত।তারা আরও বলছেন, এ জাতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। চাষে পানিও বেশি লাগে না। সব মৌসুমেই চাষ করা যায়। ধানের শীষের উচ্চতা অন্যান্য জাতের চেয়ে বেশি। চাল ধবধবে সাদা ও মিষ্টি। বেশি সারেরও প্রয়োজন হয় না। বীজের দামও কম।পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বানেশ্বরপুরের চাষী রেজাউল করিম ও শেখ আব্দুল হালিম তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিন কেজি বীজ নিয়ে যান বাংলাদেশ থেকে। তারপর দশকাঠা জমিতে চাষ করেন তারা। এতে তারা আট কুইন্টাল ধান পেয়েছেন। সাধারণত এই জমিতে চার থেকে পাঁচ কুইন্টাল ধান হয়। এরপর রেজাউল করিম ও শেখ আব্দুল হানিফ এলাকার অন্য চাষীদের এই ধান লাগাতে অনুপ্রাণিত করছেন।পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কৃষক শেখ আব্দুল হানিফ জানান, অন্য যেকোনো ধানের থেকে এই ধান অনেক ভালো। চাল সাদা এবং মিষ্টি। এই ধান চাষে বেশি সারের প্রয়োজন হয় না। ফতেমা ধান আমার নিজের জমিতে চাষ করি। চাষ করে দেখলাম, খরচের তুলনায় অনেক ভালো প্রফিট হয়েছে। আগামীতে আশা করছি ফলন আরও বাড়বে। তাই আমি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এই ধানের আবদ করার পরামর্শ দিতে চায়। সকলে আপনারা এই ফাতেমা ধান চাষ করেন। অনেক লাভবান হবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট