আল-জিহবা টেনে ধরো
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
ঝলসানো পাতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার
কারণ খুঁজতে গিয়ে
— চোলাইয়ের সাথে মাঁচা ঘরের
— ক্লান্ত সোপানে গুচ্ছ গুচ্ছ পাখির
— ঝলসানো মাংসে জিহবার স্বাদ নেয়া।
কিছু বেহায়া নামর্দ পুরুষের
আল-জিহবা টেনে ধরে চিল স্বরূপ নারী
— যার বাহুতে নয়
মনের শক্তির কাছে উদ্দোম হাওয়া
— গলিত শিশার মতো নরম হতো যদি!
কাঙালির কাঙালি ভোজে চলে
— বেহেয়াদের বেলাল্লাপনায় চলে!
অত্যানিষ্ট কল্যাণকর মেদবহুল
— জীবনের কতিপয় ধারায় নিয়ম
মানেনা ধর্ম সমাজ রাজনৈতিক ভীতি!
যারা সব সময় ভোগের সমাধি খুঁড়ে
— গোরে! অনষ্টিজনক দু-বেলা দুটো রুটির
— ভাগেযোগে খাবার দেয়া হোক
পুরুষ যদি সামনে দাঁড়ায় — আমি আলবাত
— বলে দিতে পারবো—পুরুষ কর্ম সাধনে
তিন ভাগের উপর অর্পিত শক্তি আরোপ করবে—!
ঈশ্বর আছে —!
ঈশ্বরী — গৃহকোণে বন্দি!
গৃহস্থালি না থাক
মহাজনের কয়েদখানায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে
— তার বাস!
বেলাজ মুখ দেখানো পাপ।
চোখ দর্পনে শিশু যৌনি ভাসে —
এটা পুরুষের জন্যে জায়েজ!
গৃহপালিত দাস-দাসী জায়েজ!
কর্মক্ষম সত্তর বছরের নারী জায়েজ!
আর কি জায়েজ —?
বলো — ধর্ম অবতার!
বলো — ঈশ্বর!
ব্যয়কুণ্ঠ জীবনে— নারী
যাপন করে তার ভবিষ্যৎ তাবেদার
— ছেলে সন্তানের জন্য.
নারী জানেনা — এই করিৎকর্মা
ছেলে ভবিষ্যত দ্বার কোন গরিমায়
— দাঁড়াবে!
কোন অপকর্মের দায়ভার মাথায় নেবে!
কোন হাজতে দাঁড় করাবে মায়ের
— গর্ভ আবাসস্থল!
কিছুই হলে — মায়ের গর্ভ ভালো নয়!
বীর্যের দায়ভারের সোপান— শৌর্যবির্য!
কারণ বিচারকি শাসন শোষণ
— পুরুষালি কায়দায়!
রত্নমণ্ডিত শিশুটিকে
মায়ের বহন করতে হয় দশমাস দশদিন।
কে জানে কোন হায়না বাস করে
— এই গর্ভে!
তাই তাবৎ ভ্রুণ হত্যা হোক তা কাম্য নয়।
সঠিক শাসন হোক।
পারিবারিক ভিত্তি মজবুত হোক।
তাদের আল-জিহবা টেনে ধরা হোক
যারা দুঃশাসনের দায়ভার বহন করে!
আশাতো করতেই পারি!
নিরাশার কবলে আর নয়!
কখনোই নয়— কোন মতেই নয়!
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট