যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন পুশে রোগীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।রোগীর মৃত্যুর পরে উপস্থিত স্বজনরা উত্তেজিত হলে হাসপাতালের স্টাফরা রোগীর স্বজনদের মারপিট করতে করতে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।পরে রোগীর ছেলে অন্যান্য স্বজনদের ডাক দিলে হাসপাতালে গোলযোগ সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।মৃত মইফুল বেগম (৪৩) সদর উপজেলার বিরামপুর প্রাইমারী স্কুল এলাকার সাজ্জাদ আলীর ছেলে।মৃতের ছেলে হাসান আলী অভিযোগ করে বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাতে ইবনে সিনা হাসপাতালে তর তাজা মাকে নিয়ে আসি। এখানে এসে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক লাব্বাইক রোগীকে দেখার সাথে সাথে জরুরি বিভাগে থাকা সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন সেবিকা রেখাকে রোগীর শরীরে পুশ করার নির্দেশ দেন। চিকিৎসকের নির্দেশনা পেয়ে সেবিকা রেখা রোগীকে সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন পুশ করেন। এর কিছুক্ষণ পরে রোগী অস্থিরতা করলে চিকিৎসক লাব্বাইক রোগীকে কটসন ইনজেকশন পুশ করেন। এর পরপরি আমার মা মারা যান। তখন চিকিৎসক রোগীকে সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। এসময় স্বজন হৈ চৈ শুরু করলে হাসপাতালের স্টাফ মারতে মারতে আমাকে ও আমার বাবাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। তখন স্বজনদের খবর দিলে হাসপাতালে এসে স্বজনদের মারার কারণ জানতে চাইলে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের শান্ত করে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন।যশোর সদর ফাড়ির পুলিশ পরির্দশক শফিক জানান, রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাতালে হামলা করেছেন। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের তিনটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।এ ব্যাপরে ইবনে সিনা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ আলী বলেন, হাসপাতালে গোলযোগের কথা শুনে প্রতিষ্ঠানে এসেছি। এখানে এসে জানতে পারি রোগী সন্দেহভাজন করোনা রোগী ছিলেন। স্বজনরা খারাপ অবস্থায় সদর হাসপাতাল থেকে রাতে ইবনে সিনার জরুরি বিভাগে আনেন। এসময় রোগী মৃত্যুবরণ করায় চিকিৎসক কটসন ইনজেকশন রোগীর শরীরে পুশ করেন। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুুুুলিশ।তবে এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নিবেন পুলিশ
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট