৩ নাম্বার সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করছে। এটি বঙ্গোপসাগর থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। বর্তমানে এটি খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করছে।স্থলভাগ অতিক্রম করছে গভীর নিম্নচাপ, সারাদেশেই বাড়ছে বৃষ্টি
স্থলভাগ অতিক্রম করছে গভীর নিম্নচাপ, সারাদেশেই বাড়ছে বৃষ্টি
বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করছে। এটি বঙ্গোপসাগর থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। বর্তমানে এটি খুলনা অঞ্চলে অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশেই বাড়ছে বৃষ্টি। এতে দিনের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে
একই সঙ্গে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে, একই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ঢাকার ওপর দিয়েও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি ছিল। এ সময়ে সাতক্ষীরায় সবচেয়ে বেশি ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।
এতে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া বিভাগ আরও বলেছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশেরাগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
ওমর ফারুক জানান, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামী দুইদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বগুড়ায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগলোকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট