বাগেরহাট প্রতিনিধি
শরণখোলায় সতী-সাধ্বী নারীকে ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ ও স্বামীকে হত্যার চেষ্টা
শরণখোলা বাংলাবাজারে গত শুক্রবার সকলে সতী-সাধ্বী নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ ও স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছে ঐ নারীর প্রতিবেশী বাংলাবাজার স্কুল গেটের সামনে চটপটি দোকান্দার মোঃ শাহীন মুন্সী (৩২) পিতা ফজলু মুন্সী ও তার মা ছেতারা বেগম (৫৫) ঐ ভূক্তভোগী জেসমিন বেগম (২৮) পিতা আঃ মালেক তিনি সাংবাদিকদের জানান শুক্রবার সকালে আমার স্বামী ফজরের নামাজ শেষে প্রতিদিনে মতো কুরআন তিলাওয়াত ও তাফসীর করে, আমরা বাড়ীর সবাই মনোযোগ দিয়ে শুনি তাফসীর শেষ করতে না করতেই আমার ঘরের সামনে ধারালো অস্ত্র ইট ও মোটা লাঠি নিয়ে শাহীন মুন্সী ও তার মা ছেতারা বেগম আমার স্বামীকে ও আমার মৃত শশুরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে তুই ঘর থেকে বাইরে আয় তোর সাথে কথা আছে আমার স্বামী বলেন আপনারা গালাগালি করেন কেন কি হইছে আমি বাহিরে যাব না। তখন আমি বলি আপনার কি আমাদের মাইরা ফালাইবেন এতো উত্তেজিত হইছেন কেন তখনই আমাকেও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও আমার চরিত্র নিয়ে বাজে মন্তব্য ও মিথ্যা অপবাদ এবং বলেন আমার নাকি অশ্লীল পোশাকে একাধিক পুরুষের সাথে নগ্ন ভিডিও ও ছবি সহ তাদের কাছে অনেক প্রমাণ আছে, এ সময় তারা বলেন আমাদের কাফের বেইমান নমরুদ ফেরাউন প্রতারক বিশ্বাস ঘাতক কেন বলছো আমার স্বামী বলেন আমি কুরআন শরীফের তাফসীর করেছি আমি আপনাদেরকে কিছুই বলিনি এই বলায় তখনই আমার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সামনে থেকে আমার স্বামীকে টেনে হিচড়ে হত্যা উদ্দেশ্য বাড়ির বাহিরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ধস্তাধস্তি সময় জোরে চিৎকার দিলে বাড়ির সব লোকজন তাকে শাহীন ও ছেতারা বেগমের হাত থেকে আমার স্বামীকে প্রাণে রক্ষা করেন,১শাহ আলম মুন্সী পিতা আলী মুন্সী ও তার স্ত্রী ২ ময়না বেগম , ৩ মালেকা স্বামী আলী মুন্সী ৪ কোমেলা বেগম স্বামী নান্না মুন্সী ৫ পান্না মুন্সী পিতা সেকান্দার মুন্সী ও তার স্ত্রী মোরজিনা বেগম। এই হামলার ৩ দিন আগে আমাদের তিনটি মুরগি শাহীনের ছেলে পিটিয়ে মেরেফেলে এ বিষয়ে তাদেরকে জানাতে গেলে তারা আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে এবং হামলার দুই দিন আগে শাহ্ আলম মুন্সীর ৫ বছরের ছেলে মোঃ ওমর ও আমার ৫ বছরের ছেলে আঃ রহমান খেলাধুলা করার সময় খাট থেকে পড়ে গিয়ে শাহ্ আলম ভাইয়ের ছেলের মাথা কেটে যায় সেই ছবি তুলে আমার স্বামীর মোবাইলে মেসেঞ্জারে দিয়ে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয় সাংবাদিকদের আরও বলেন আপনাদের কাছে আমার দাবী শাহীন মুন্সী ও তার মা ছেতারা বেগমের কাছে কাছে আমার নাকি নগ্ন ভিডিও এবং ছবি আছে আপনারা ঐ প্রমাণ গুলো বের করুন তাদের থেকে আর যদি না বের করতে পারে তাহলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন যাতে এরকম কোন নারীদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিতে না পারে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই । এ বিষয়ে ভূক্তভোগী জেসমিন বেগমের স্বামী ইমাম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি মানবাধিকার ও সংবাদ কর্মী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো মামলার তদন্তে দেশের ভিবিন্ন জেলায় আমার যেতে হয় আমার কাজ নির্যাতিত নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়িয়ে আইনী সহায়তা প্রদানকরা, তাই আমার বাড়িতে থাকা হয়না এই সুযোগে আমার স্ত্রী ছেলেমেয়েদের সাথে তারা খুব খারাপ আচরণ ও নির্যাতনের মতো অপরাধে লিপ্ত হয় আমার বড় ভাই ও বড় বোন তারা আমার স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে আমি নিরুপায় হইয়া তাদের নির্যাতনের হাত থেকে আমার পরিবারকে বাচাতে শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি এবং সাধারণ ডায়েরি করায় তারা আমার পরিবারের সাথে আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার বড় ভাই বোন শাহীন মুন্সীর মা বোনকে আমার পরিবারের পেছনে লেলিয়ে দেয় এবং তারা আমার পরিবারের গায়ে পারে ঝগড়া করে ও চরিত্রের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়, গত ২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার সময় আমার মেসেঞ্জারে একটি অডিও বার্তার মধ্যমে আমাকে কুপিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয় শাহীন মুন্সী, তখন আমি একটি জাতীয় মানবাধিকারের মামলার তদন্তে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি থানায় অবস্থান করছিলাম এবং তদন্ত শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হই আমি বাড়িতে গেলেই পরের দিন আমাকে ওরা হত্যার উদ্দেশ্য আমার উপর হামলা করে, আমাকে বাড়ির সবাই যদি তাদের হাত থেকে উদ্ধার না করতো তাহলে ওরা তখনই আমাকে হত্যা করতো।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট