এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ(চাটমোহর,পাবনা)
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার পাশ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তর্গত ডিকশি বিল(ফাইলাম বিল) পাড়ের কয়েক গ্রামের প্রায় তিনশত মৎস্যজীবী পরিবারের পক্ষ থেকে
প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কে বিল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার (৭ আগষ্ট ২০২৩) চাটমোহর উপজেলা পরিষদ গেটে মানব বন্ধন করেন বিলপাড়ের প্রকৃত মৎস্যজীবীরা।
সকালঃ ১১:০০ ঘটিকা থেকে দুপরঃ ০১:০০ ঘটিকা পর্যন্ত ব্যপ্তীকাল ছিলো মানব বন্ধনের।
বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে ডিকশি বিলের চার পাশ থেকে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা মানব বন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
মানব বন্ধনে অংশ কারী মৎস্যজীবীগন তাদের বক্তব্য ও দাবি দাওয়া সম্বলিত আবেদন পত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর স্মারকলিপি আকারে জমা দান করেন।
আবেদনে পবাখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও বনগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে সভাপতি মোঃ মোড়ল প্রাং সহ আরো অনেক সদস্য স্বাক্ষর করেন।
মৎস্যজীবীদের ভাষ্য মতে তাদের বক্তব্য এই যে, পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলাম পিতাঃ মোঃ হাবিব পার্শ্বডাঙ্গা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি এবং মোঃ হাবিব অপর একটি পার্শ্বডাঙ্গা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি।
উভয়েই পিতা-পুত্র, দুটি সমিতির সভাপতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে ডিকশি বিলের লীজ নিয়ে থাকে।
এবং নিজেরা খাজনা উত্তোলন না করে হাত বদল করে অপর পক্ষের কাছে বেশি দামে বিল হস্তান্তর করে!
পরবর্তীতে সেই হাত বদলে বিল নেওয়া পার্টি অতিরিক্ত হারে খাজনা ধার্য্য করে।
যা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ভাষ্য মতে অনেক বেশি টাকা।
এছাড়াও তাদের বক্তব্য তারা অত্যাচার জুলুম নির্যাতনের শিকার হন।
তাদের মাছ শিকারের উপকরণ জাল-নৌকা, বাসন, সহ প্রয়োজনীয় উপকরণাদি ছিনিয়ে নেয়, মাঝে মাঝে বিক্রিও করে দেয়।
ডিকশি বিল দুই পার্ট বা অংশে বিভক্ত। জগন্নাথপুর নিবাসী প্রয়াত হাসান চৌধুরী একজন আদর্শ গৃহস্ত ও জোতদার ছিলেন।
তিনি প্রকৃত পক্ষে মৎস্যজীবী না হয়েও মৎস্যজীবীদের হক ডিকশির বিল লীজ নিয়েছেন!
হাসান চৌধুরী সাহেবের ছেলে মোঃ হায়াত উজ জামান চৌধুরী রাজাও একজন কৃষক ও ব্যবসায়ী।
তিনিও পিতৃ পদাংক অনুস্মরণ করে ডিকশি বিল লীজ নিয়ে অপর পার্টির কাছে বিক্রি করে দেন।
অথচ আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবী, মাছ শিকার করেই তা বিক্রি
করে জীবিকা নির্বাহ করি ছেলে-মেয়ের স্কুল কলেজের বেতন, চিকিৎসার খরচ বহন করি।
অথচ আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবী হয়েও বিলের হক দার হওয়া স্বত্ত্বেও নির্যাতিত হচ্ছি।
আমাদের প্রানের দাবি ডিকশি বিল পাড়ের বনগ্রাম, দীঘিপাড়া,পার্শ্বডাঙ্গা,ওলীপুর,
জগন্নাথপুর, কুয়াবাসী,পবাখালী,সোহাগবাড়ী, হিড়িন্দা,খতবাড়ী,আড়িংগাইল সহ অসংখ্য গ্রামের প্রকৃত মৎস্যজীবী মৎস্য শিকারীদের মুখের দিকে চেয়ে তাদের নামে লীজ বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে নতুন করে টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সেই সাথে যারা প্রকৃত মৎস্যজীবী নয়, তাদের নামে নিবন্ধনকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের প্রতি ন্যায়ের দরজা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি গুলোকেও চিহ্নিত করে বাদ বাকি সমিতি গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেক দৃ্ষ্টি কামনা করেছেন।
মানব বন্ধনে অংশ গ্রহনকারীদের
পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পাবনা,
পুলিশ সুপার,পাবনা,
জেলা মৎস্য কর্তা,পাবনা। জেলা কর্মকর্তা, দূদক, পাবনা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা,চাটমোহর,পাবনা মহোদয়দের কে আবেদন(স্মারক লিপি) পত্র পৌছে দেওয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট