শ্রাবণের শেষ সময়ে টানা বৃষ্টিতে যশোরের কৃষকের জন্য বৃষ্টি এনেছে স্বস্তি।যশোরের কৃষকের জন্য বৃষ্টি এনেছে স্বস্তি।যশোরে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।শ্রাবণের শেষ সময়ে টানা বৃষ্টিতে যেখানে দেশের একাংশের জনজীবন বিপর্যস্ত, সেখানে বৃষ্টিই হাসি ফুটিয়েছে যশোরের আমন ধান ও পাট চাষিদের মুখে।চলতি আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে যশোর অঞ্চলে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়নি। ফলে আমন রোপণ ও পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন চাষিরা। তবে রোববার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি তাদের সেই চিন্তার অবসার ঘটিয়েছে।সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে ১২ ঘণ্টায় ২২ মিলিমিটার এবং সোমবার ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে।চাঁচড়া ইউনিয়নের বিল হরিনা মাঠে কথা হয় কৃষক শুকুর আলীর সঙ্গে।তিনি জানান, পানির অভাবে অধিকাংশ চাষিই সেচের মাধ্যমে রোপা আমনের চারা রোপণের কাজ করেছেন। ফলে বাড়তি খরচ হয়ে গেছে। তবে অনেকদিন পর বৃষ্টি পাওয়ায় জমিতে পানি জমতে শুরু করেছে। এই বৃষ্টিতে আমন ফলনের জন্যে আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন তারা।একই মাঠে কাজ করছিলেন কৃষক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “কয়েক বছর ধরে দেখছি আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি না হয়ে ভাদ্র মাসের শুরু থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। সে সময়ে আমরা আমন ধান রোপণ করেছি। ফলনও ভালো পেয়েছি। এ বছরও ঠিক সেই অবস্থা ছিল। শ্রাবণ মাসের এসে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় আশা করছি আমরা আমনের ভালো ফলন পাব।যশোরে চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক।তিনি জানান, এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ জমিতে রোপণ শেষ হয়েছে। যশোরের চাষিরা সমকালীন পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করেন। যে কারণে তারা বৃষ্টির অপেক্ষা না করে আগেভাগেই সেচ দিয়ে ধান রোপণ শুরু করে দিয়েছেন।শ্রাবণের শেষ সময়ে বৃষ্টির পর্যাপ্ত পানি ধান আবাদের জন্য পরিপূরক হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা তার।এছাড়া জেলায় ২৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে জানিয়ে কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক বলেন, পানির অভাবে কৃষক কিছুটা চিন্তায় থাকলেও শেষ সময়ে বৃষ্টি তাদের সেই সংকট দূর করে দেবে।যশোরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট