কামাল উদ্দিন টগর,নওগাঁ প্রতিনিধি
ভরা মৌসুম আষাড়েও পানি নেই, দুশ্চিন্তায় নওগাঁর আত্রাইয়ের নৌকা বিক্রেতারা,ধংশের দ্বার প্রান্তে নৌকা শিল্প। নৌকার হাচে ক্রেতা না থাকায় চরম হতাশায় বিত্রেতারা। আষাঢ মাসের শেষভাগেও নদ-নদঅ ও খাল-বিলে পানির দেখা মিলছেনা। এতে চাহিদা না থাকায় তৈরি করা নৌকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কারিগররা। এদিকে বেচাবিক্রি না থাকায় হাট ইজারাদাররাও পড়েছেন লোকসান আতঙ্কে। হাটে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে থেকে অলস সময় পার করছেন নৌকা বিক্রেতা সিংড়ার আবুল হোসেন।
নৌকা শিল্প ধংশের দ্বার প্রান্তে, ছবি দৈনিক খবর পদ্মা সেতু
সরেজমিনে দেখা গেছে, নৌকার হাটে ক্রেতা না থাকায় অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।
আষাঢের শুরুতে নদ-নদী,খাল-বিল ও নিন্মাঞ্চল পানিতে টইটুম্বর থাকলেও এ বছর দেখা নেই পানির। এতে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী, যাদের নৌকাই একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম,তারা নৌকা কিনতে হাটে আসছেন না। ধার দেনা করে কাঠ কিনে নৌকা বানিয়ে হাটে আনলেও ক্রেতার দেখা মিলছেনা। দু- একজন যারাও আসছেন,তারা নির্মান খরচের চাইতেও কম দামে কিনতে চান।এতে মৌসুমি কারিগররা লোকসানের আতঙ্কে দিন পার করছেন।
কারিগর সমসপাড়া গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান,পানির যে অবস্থা তাতে নৌকা বিক্রির সুযোগ নেই। তাও যা বিক্রি হচ্ছে, তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। নৌকা তৈরি খরচ চার হাজার টাকা হলেও এখন তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়। ফলে এ বছর যদি আর পানি না বাড়ে তাহলে তাদের অবধারিত লোকসান ঘুনতে হবে। এদিকে, নৌকা বিক্রি কমে যাওয়ায় হাট ইজারাদারও টাতা তোলা নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।
নৌকা শিল্প ধংশের দ্বার প্রান্তে,ছবি দৈনিক খবর পদ্মা সেতু
আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের সমসপাড়া হাটেরইজারাদার মোয়াজ্জেম মিয়া বলেন, কোনো বেচাকেনা নেই। সারাদিন এখানে অলস সময় পার করতে হচ্ছে। আমরা যারা হাট ইজারা নিয়েছি,তারা তে পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি, মনে হয় না ইজারার টাকা তুলতে পারবো। সমসপাড়াহাটে তিন থেকে সাত হাজার টাকায় নৌকা বিক্রি হওয়ার কথা। অথচ ক্রেতা সংকটে এবছর মাত্র বিশ থেকে ত্রিশটি নৌকা হাটে ওঠেছে।#
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট