আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১৩ বছরে ৫৫টি নতুন শ্রম বাজার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৫-০৬ সালে জোট সরকারের বিদেশে কর্মী প্রেরণের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫২ হাজার ৭০২ জন, আর রেমিট্যান্সের পরিমান ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরে তা ৫ গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। এই সময়ে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫০৫ জন এবং ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বর্তমানে আমাদের দেশের ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মী বিদেশে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০২২ জুন পর্যন্ত বিদেশে গিয়েছে ৭৫ লক্ষ কর্মী। অর্থাৎ, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত, ৩৬ বছরে যে পরিমান কর্মী বিদেশে গিয়েছে, গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে তার দেড় গুণেরও বেশি কর্মী বিদেশে গিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত ২৪টি নতুন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৫ সালে মোট ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজ হাতে নেওয়া হয়। বাকি ১৬টির কাজও চলমান ও শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো থেকে হাজার হাজার দক্ষ তরুণ বের হবে, যারা দেশে, বিদেশে কাজ করবে, দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স পাঠালে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। যার কারণে বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স পাঠানো বেড়েছে। চলতি বছরের মে মাসে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লক্ষ টাকার উপর রেমিটেন্স পাঠালে নগদ প্রণোদনা পাওয়ার নিয়ম আরো সহজ করে দেয়। আজ প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়া আরো সহজতর করতে। উনি আমাদের প্রবাসী কর্মীদেরও অনুরোধ করেন শুধুমাত্র বৈধ উপায়েই রেমিটেন্স পাঠাতে।আমাদের বৈদেশিক কর্মীদের দুটি কমন কমপ্লেইন আমি দেখতে পাই। ঢাকা এয়ারপোর্ট ও বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসে হয়রানি বা দুর্ব্যবহার। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টরা আন্তরিকতার সাথে দেখবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট