অনলাইনে ঋণ দেওয়ার নামে ব্যাপক প্রতারণা
সবুজ কুমার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
অনলাইনে ঋণ দেওয়ার নামে ব্যাপক প্রতারণা
ইদানিং অনলাইনে জমে উঠেছে ঋণ ব্যবসা। সেখানে ঋণ দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এরকম একটা অ্যাপস ফেসবুকে আমার নজরে পড়ল, তাছাড়া পত্রিকার পাতায় অনেক এরকম খবর পড়েছি। তারপর সেই চেষ্টা নিয়ে বাস্তবে বিষয়টি জানার জন্য অ্যাপসটি ডাউনলোড করলাম এবং ঋণের জন্য আবেদন করলাম।
দুই হাজার টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেছিলাম আপসে। তাদের কমিউনিটি অনুযায়ী এই 2000 টাকা কিছু সুদসহ ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
আমি যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করার পর ২০০০ টাকার বিপরীতে ১২০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রায় আধাঘন্টা পর পেয়েছি।
তারা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিলেও এখন দাবি করছে সাতদিনের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধ না করলে দ্বিগুণ সুদ বাড়বে।
তারা আবদার করছে ১২০০ টাকার জায়গায় সুদসহ সাত দিনের মধ্যে দুই হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
আমি যদিও অনলাইন ঋণ দেওয়া অ্যাপসের সমন্ধে জানিনা। আসলে বাস্তবে এটা কি সম্ভব নাকি জালিয়াতি?
কিন্তু ২০০০ টাকা আবেদন করলেও ১২০০ টাকা পেয়েছি, যা খুবই প্রতারণা মূলক কাজ।
তাই সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ সতর্ক না হলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে ছদ্মবেশী এসব ঋণ দাতাএপস এর মালিক।
এইভাবে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার গ্রাহককে প্রচারণার মাধ্যমে ভুল বুঝিয়ে প্রথমে সদস্য করে তাঁদের। অনলাইনে স্বল্প সুদে ঋণের কথা বলে টাকা দেওয়া হয়। ঋণ দেওয়ার পর শুরু হয় এসব অনলাইনে অবৈধ লাইসেন্সবিহীন রিপেইড ক্যাশ কোম্পানির বাণিজ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী একজনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-
এসব প্রতিষ্ঠান প্রথমে একজন গ্রাহককে অনলাইনে তাঁদের সাইটের সদস্য করে। এরপর সদস্যকে জানানো হয় ৭ দিন, ৯০ দিন ও ১২০ দিনসহ বিভিন্ন মেয়াদে তিনি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প সুদে অনলাইনে ঋণ নিতে পারবেন।
কিন্তু ঋণ দেওয়ার পর হঠাৎ তাঁদের কথা আর কাজের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় না। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন নম্বরে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা। গ্রাহকদের ঋণের তারিখ শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে শতকরা ৪৫ টাকা প্রতিদিন আসল টাকার সঙ্গে লভ্যাংশ যোগ করা হয়। এত টাকা কেন সুদ বললে তারা বলে, এটা তাঁদের কোম্পানির নিয়ম।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট