রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) এর ৯নং ওয়ার্ডের তিন যুবকের বিরুদ্ধে পাঠানপাড়া এলাকায় ৩টি ভেড়া চুরি করে নিয়ে জবাই করে বারবিকিউ পার্টি ও অবিশিষ্ট ভেড়ার মাংশ বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ তুলেছে পাঠানপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী সুরভী। গত ২২ শে আগষ্ট বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত তিন যুবক হলেন (রাসিক) এর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলেরের সুপারভাইজার পাপ্পু,২নং কসাই পাড়া এলাকার নওষাদের ছেলে সুমন,৩নং দরগাপারা এলাকার কালা মিঞার ছেলে রাসেল। তারা তিনজনে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের কর্মচারী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় পাঠানপাড়া এলাকার সুরভীর ভেড়ার পাল নদীর ধারে চড়ে বেরিয়ে বাসায় ফিরে আসছিলো। এ সময় ভেড়া চোর চক্ররা সে পাল থেকে তিনটি ভেড়া চুরি করে রাসিক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের ছাদে বারবিকিউ ও পিকনিক করে। এবং নওশাদ কসাই এর ছেলে সুমন বেচে যাওয়া ভেড়ার মাংস গুলো বাজারে বিক্রি করে। এ সময় ভেড়া চোরচক্র পাঠানপাড়া এলাকার কালা ভাইয়ের বাসার সামনে দিয়ে চুরি করা ভেড়া পাচার করার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী দেখতে পাই। এবং পরদিন প্রকৃত ভেড়ার মালিক সুরভীকে তার ভেড়া চুরির বিষয়টি জানায়। এ সময়
ভুক্তভোগী সুরভী ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে ভেড়া চোর চক্রের বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলে বিষয়টি কাউন্সিলর গুরুত্ব না দিলেও, যখন ওয়ার্ডবাসীর মাঝে জানাজানি হয়ে যায় তখন ১০/১৫ হাজার টাকা দিয়ে সমঝোতা করার জন্য কাউন্সিলর চেষ্টা করে এবং যাদের নামে অভিযোগ তাদের অফিসে আসতে নিষেধ করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তেভোগী সুরভীর সাথে কথা হলে তিনি জানান,
এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে কথা বললে, তিনি জানান ভুক্তভোগী সুরভী তাকে মৌলিকভাবে অভিযোগ দেয় তার ৩ টি ভেড়া চুরি হয় এবং ভেড়া চোর চক্রের হোতা ৩ জন হচ্ছে পাপ্পু,সুমন ও রাসেল। আমি তাদের ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে একটি সমঝোতা করার চেষ্টা করি কিন্তু ভুক্তভোগী সুরভী তাতে রাজি হোননি।ভুক্তভোগী এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রসাশকের কাছে বিচার চেয়েছেন বলে শুনেছি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট