স্টপ রিপোটায় এম বাদল খন্দকার।
ব্রাক্ষনবাড়ীয়া হয়ে গেল ভাটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।উৎসবে মাতোয়ারা তিতাস নদী তীর। পুরোটা বছর জুড়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা থাকেন ব্রাক্ষনবাড়ীয়া ঐীড়া প্রেমীরা। চমৎকার এ নৌকা বাইচ উপভোগ করায় জন্য সকাল থেকে তিতাস নদীর পাড়ে লাখ মানুষের ভিড়।বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর, তিতাসের বুকে পড়ন্ত বিকালে এ নৌকা বাইচ দেখতে ভিড় লাখো মানুষ। নৌকা বাইচ উপলক্ষে শহর জুড়ে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়।দুপুর গড়ানোর আগেই জেলায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহীত দশকরা নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকেন ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিন্ডস কোম্পানী লিঃ দারাজ বাংলাদেশ ও ইউনিভাসেল মেডিকেল সাভিসেস ব্রাক্ষনবাড়ীয়া এর সহযোগিতায় তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার সদরের ৪ টি, বিজয়নগর উপজেলা ৫ টি, নবীনগর উপজেলা ২ টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২ টি ও সরাইল উপজেলা ১ টি নাসিরনগর উপজেলা ১ টি সহ মোট ১৫ টি দল প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রং বে রঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।প্রতিযোগিতা চলায় সময় বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়াল গান আর পানিতে বৈঠায় ছলাও ছলাও আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।উঔ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য র-আ- ম- ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জনাব আল মামুন সরকার। উপস্থিত ছিলেন ব্রাক্ষনবাড়ীয়া পৌর মেয়র জনাবা নায়ার কবির,জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব জসীম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সন্মানিত সাধারন সম্পাদক জনাব বাহারুল ইসলাম, ও জেলা উপজেলা স্হানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্হান অজন করে নবীনগর উপজেলায় নৌকা। দ্বিতীয় স্হান অজন করে সরাইল উপজেলা শাহবাজপুর ইউনিয়নের হেমতাপুর শাপলা বয়েজ ক্লাব, তৃতীয় স্হান অজন করে আশুগঞ্জ উপজেলা নৌকা, প্রথম স্হান অজনকারী দলকে প্রধান অতিথি ১ লাখ টাকা,দ্বিতীয় স্হান অজন কারীকে ৫০ হাজার এবং তৃতীয় স্হান অজনকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং ট্রফি উপহার হিসেবে তাদের হাতে তুলে দেন। এবং প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনকারী প্রত্যেকদলকে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতা চলাকালীন নিবাহী ম্যাজিষ্টেটের নেতৃত্বে ১০ টি মোবাইল কোট টিম সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ আনসার ফায়ার সার্ভিস,বি,এন,সি সি নৌ পুলিশ, ডুবুরীদল ও মেডিকেল টিম নিয়োজিত ছিল। নিরাপত্তায় জন্য আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট