ভারতীয় রেল হল এশিয়ার বৃহত্তম ও বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। স্বস্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য উভয় দিক দিয়েই দেশের কোটি কোটি মানুষের ভরসা ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেল সংক্রান্ত এইসব তথ্য তো কমবেশি সকলেই জানেন তাই আজ কিছু অজানা এবং বিভিন্ন মজাদার ঘটনা নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। কোথাও বা ট্রেন চললেও কোনো নাম নেই স্টেশনের, আবার কোথাও যেতে গেলে লাগে স্পেশাল পারমিশন। চলুন দেখে নিই কী সেই মজাদার তথ্য।১) ভিসা লাগবে এই স্টেশনে যেতে : ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত একটি স্টেশন আটারি। দিনে ২৪ ঘন্টাই কড়া পাহারায় ঘিরে রাখে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। জেনে অবাক হবেন এই স্টেশনে যেতে গেলে আগে বানাতে হবে ভিসা। শুধু তাই নয়, পারমিশন ছাড়া এখানে ধরা পড়লে হতে পারে জেল।২) নামহীন স্টেশন ১ : ভাবুন তো, আপনি ট্রেনে সফর করছেন এবং এমন এক স্টেশনে নামলেন যার কোনো নাম নেই। মজার ব্যাপার নয় কি? আসলে রাঁচি থেকে টোরি যাওয়ার পথেই এই নামহীন স্টেশনটি পড়ে। প্রথমদিকে বদকিচাঁপি নাম রাখার কথা হলেও আশেপাশের মানুষ এর বিরোধিতা শুরু করে। স্থানীয় ব্যক্তিদের মতানুসারে, এই স্টেশন তৈরি হয়েছে তাদের গ্রামের জমি এবং গ্রামবাসীর শ্রম দিয়ে। তাই নাম রাখলে সেই গ্রামের নামেই রাখা উচিত। বিতর্ক এখনও না মেটায় স্টেশনটি আজও রয়ে গেছে নামহীন।
৩) নামহীন স্টেশন ২ : আরও একটি স্টেশন রয়েছে যার কোনো নাম নেই। আর মজার বিষয় হলো সেটি এরাজ্যেই অবস্থিত। স্টেশনটি বর্ধমান থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। বাঁকুড়া ও মসাগ্রাম রেল লাইনের মধ্যেই পড়ে এই স্টেশন। আসলে এই স্টেশনটি রায়না এবং রায়নাগড় নামক দুটি গ্রামের মাঝে অবস্থিত। স্টেশনটির নাম প্রথমে রায়নাগড় নাম দেওয়া হলেও তাতে আপত্তি জানায় রায়না গ্রামের মানুষজন। এই বিবাদ আজও অব্যাহত থাকায় এই স্টেশনটিরও নামকরণ করা আর সম্ভব হয়নি।৪) ইঞ্জিন আর কোচ দুটি দুই রাজ্যে : গোটা ভারতে এই একটি ট্রেনের ইঞ্জিন থাকে এক রাজ্যে আর বাকি কোচ থাকে আরেক রাজ্যে। হ্যাঁ, রাজস্থান আর মধ্যপ্রদেশের মধ্যে থাকা এই স্টেশনটি এমনই অদ্ভুতভাবে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। স্টেশনটির নাম ভাওয়ান মান্ডি। স্টেশনের দুই প্রান্তে দুই রাজ্যের সাইন বোর্ডও লাগানো আছে।৫) দুটি রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত স্টেশন : এরমধ্যে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় যেখানে রয়েছে সেটি হলো নওয়াপুর রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনটিও গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্ত। এই স্টেশনের প্লাটফর্ম, বেঞ্চ সবকিছুতেই দুটি রাজ্যের নাম লেখা আছে। এমনকি এই স্টেশনে ঘোষণার সময় ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি এবং গুজরাটি মোট ৪টি ভাষার ব্যবহার হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট