মৃত্যুর পরে মায়ের চিঠি,,,,,।
মা মারা জাবার কিছু দিন পরে,,, মায়ের ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মায়ের হাতের লেখা একটি চিঠি পায় তার ছেলে,,,,।। চিঠিতে লেখা থাকে,,, খোকা এই চিঠি যখন তোর হাতে পরবে তখন আমি তোর থেকে অনেক দুরে চলে জাবো,,, যেখান থেকে কেউকোনো দিন ফিরে আসে না,,,,।খোকা তোর অনেক কথা মনে নেই,,, তাই এই চিঠিতে লিখে গেলাম তোর মনে না থাকা সেই কথা গুলি,,,,। তুই যখন ছোট ছিলি একবার তোর ঝর এসে ছিলো,,, আমি তিন রাত গুমাতে পারি নি তোকে বুকে নিয়ে বসে ছিলাম,,, কারন তোকে বিছানায় শোয়ালেই তুই কেঁদে উঠতি,,,তোর বাবা আমাকে বলেছিলো তোকে শুইয়ে রাখতে কিন্তু আমি পাড়িনি তোর বাবার কথা রাখতে,,, সে জন্য আমাকে অনেক গালাগাল দিয়ে ছিলো তোর বাবা,,,। তোকে যখন রাতে বিছানায় শোয়া তাম,,,, তুই প্রোশাব করে বিছানা বিজিয়ে ফেলতি তখন আমি তোকে শুকনো যায়গায় শোয়াই তাম,, আর আমি তোর প্রোশাবে বিজানো সেই জায়গায় শুইয়ে থাকতাম,,, তোর বাবা যখন মারা গেলো,,, তখন অনেক কষ্টে আমাকে সংসারটা চালাতে হয়ে ছিলো,,, একটা ডিম বেজে দুই টুকরা করে তোকে দু বেলায় দিতাম,,, এমন দিন গেছে সুধু লবন দিয়ে খেয়ে উঠেছি আমি,,, তোকে বুঝতেও দিয় নাই আমি,,,। একদিন রান্না করার মতো কোনো চাল ছিলোনা আমার কাছে,,, তখন কোনো উপায় না পেয়ে একবাড়িতে কাজ করে কিছু চাল এনে ভাত রেধে খাইয়ে ছিলাম তোকে,,,। হয়তো তুই ভুলে গেছিস,,, যখন তোর এস এস সি পরিক্ষিার ফি দিতে পারছিলামনা তখন তোর বাবার দেয়া শেষ স্মৃতি নাক ফুলটা বিক্রি করে দিয়ে ছিলাম,,, আরো অনেক কথা আছে যা লিখতে গেলে হয়তো খাতা শেষ হয়ে জাবে,,, কিন্তু লেখা শেষ হবে না,,,।ভাব ছিস এতো কথা তোকে ক্যানো লিখে গেলাম,,, খোকা তুই যখন বড়ো হলি একটা ভালো চাকরি পেলি,,,, কিছু দিন পরে বিয়ে করলি,,, আমি তোদের নিয়েভালোই ছিলাম,,,। একদিন ঘর থেকে কিছু টাকা চুরি হলো,,, সেই দিন তুই আমাকে জিগ্যেস করে ছিলি আমি তোর টাকার ব্যাপারে কিছু জানি কিনা,,, তুই আমাকে সরাসরি কিছু না বল্লেও আমি বুজতে পেরেছিলাম তুই আমাকে চোর ভেবে ছিলি,,,। কিছু দিন পর তুই আমাকে চোরের অপোভাধ দিয়ে অন্য একটি ঘরে রেখে দিলি,,,। খোকা আমার সেই ঘরটিতে থাকতে অনেক ভয় করতো,, কারন ঘরটি তোর থেকে অনেক দুড়ে ছিলো,,, খোকা তোকে একদিন বলে ছিলাম আমার একা একা থাকতে ভয় লাগে,,, তুই বলে ছিলি মরন আসলে যেকোনো যায়গায় আসবে,,,,। আমার হাটুর ব্যাথাটা বেড়ে ছিলো তোকে বলে ছিলাম খোকা আমাকে কিছু ঔষদ কিনে দিবি,, তুই বলেছিলি এইবয়সে ঔষদ খাওয়া লাগে না,,, এমনি এমনি ঠিক হয়ে জাবে,,,। খোকা বিছানা থেকে উটতে পারতাম না,, সরিরে ফোসকা পরে গিয়ে ছিলো,,, সরির থেকে পচা গন্ধ আসতো,,, কতো দিন যে গোসল করিনি তা ঠিক বলতে পারবো না,,,খোকা তোর ঘরটা ছিলো আমার ঘরের থেকে অনেক দুড়ে,,, কখন আশিস কখন জাশ আমি কিছুই দেখতে পারতাম না,,, সুধু পথের দিকে তাকিয়ে থাকতাম,,, খোকা তুই যখন ছোট ছিলি আমি খেতে বসলে তোকে কোলে নিয়ে খেতে বসতাম,,, তখন তুই আমার কোলে পায়খানা করে দিতি,,, আমি তোর পায়খানা সরিরে নিয়ে খেয়ে উটতাম ক্যানো জেনো একটুও ঘৃনা লাকতো না আমার,,, কিন্তু তুই জখন আমার কাছে আসতি তখন নাকে রুমাল দিয়ে আসতি,, ক্যানোরে খোকা আমার সরির দিয়ে গন্ধ আসতো বলে,,,। এক কাপরে আমাকে কতো মাশ যে থাকতে হয়েছে তা আমি ঠিক বলতে পারবো নারে খোকা,,,।তুই যখন অনেক দিন পর একবার আমাকে দেখতে এসে ছিলি আমার খুভ ইচ্ছে হয়ে ছিলো তোকে বুকে জরিয়ে দরি কিন্তু খোকা পাড়িনি তোকে বুকে জরিয়ে দরতে,,,কারন আমার সরিরে তো অনেক ময়লা ছিলো,,, যদি তোর দামি দামি সার্ট প্যান্ট নষ্ট হয়ে যায় এই ভয়তে তোকে বুকে নিতে পাড়িনি খোকা,,,,। খোকা কখনো আমাকে একবারও জিগ্যেসকরোনি মা তোমার কিছু খেতে মন চায়,,,খাওয়ার কথা থাক,, কতো দিন যে তোর মুখে মা ডাক সুনি নি,, তাও ঠিক বলতে পারবো না,,,।খোকা আমার কি অপরাধ ছিলো,,, আমাকে তোর থেকে অনেক দুড়ে রাখলি,,, খোকা তুই কি পারতি না আমাকে তোর কাছে রাখতে,,, খোকা তুইকি পারতি না,, আমাকে একটা কাপর কিনে দিতে,,,, খোকা তুই কি পারতি না,, আমাকে একটা ডাক্তার দেখাতে,,,। আমাকে একটা ডাক্তার দেখালে হয়তো এই পৃথিবীতে আরো কিছু দিন থাকতে পারতাম,,, খোকা কোনো মা তার সন্তানের কাছে পেট ভরে খেতে চায় না,,, সুধু মন ভরে মা ডাক সুনতে চায়,,, যা তোরা কখনো বুজতে চাওনা,,,। খোকা তোকে একটি শেষ অনুরোধ করছি,, আমার এই চিঠিটা তোর সন্তানদের পড়ে সুনাবি,,, কারন তুই বৃদ্ধ হলে তোর সাথে তোর সন্তানেরা যাতে এরকম টি না করে,,,, ভালো থাকিশ খোকা,,,,,।।,,,,,,,,,,,,,,,,ইতি,,,,,,,,,,,,, তোর,,,,,,,,, মা,,,,
এই গল্পটি তাদের জন্য যারা বৌ পেয়ে মাকে ভুলে যায়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট