এস এম আকাশঃ
একজন অ্যাডভোকেট হলেন
যিনি বাংলাদেশের ফৌজদারী ও দেওয়ানী আদালতে বাদী/প্রতিবাদী, বিচার প্রার্থী ও বিবাদী পক্ষে যুক্তি তর্ক প্রতিকার প্রার্থনায় কথা বলে থাকেন।
সংজ্ঞায়িত করে বলা যেতে পারে যে, অ্যাড অর্থ হলো যোগ করা আর ভোকাল শব্দের অর্থ হলো কন্ঠ দেওয়া, মক্কেলের পক্ষ কথা বলা।
অর্থাৎ অ্যাডভোকেট হলেন যিনি অপরের পক্ষে নিজের কথা যোগ করেন এবং আদালতে বা সংশ্লিষ্ট স্থানে তা প্রেজেন্ট করেন।
একজন অ্যাডভোকেট তিনি আদালতের একজন আইন কর্মকর্তা।
সমাজের সম্মানিত নাগরিক।
একজন অ্যাডভোকেট সমাজে চলতে ফিরতে সর্বাগ্রে তিনি একজন অ্যাডভোকেট এই পরিচয় প্রদান করতে হবে!
অ্যাডভোকেট হতে হলে কোন শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে আইন বিষয়ে স্নাতক(অনার্স) ডিগ্রী অর্জন অর্জন করতে হয়।
আর যে কোন বিষয়ে অনার্স/স্নাতক সনদ থাকলে দুই বছরের এলএলবি সনদ অর্জন করে অ্যাডভোকেট হিয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়।
পরবর্তীতে কিছু অনুস্মরনীয় ধাপ অতিক্রম করে একজন নাগরিক অ্যাডভোকেট হতে পারেন।
বাংলাদেশের যে কোন আদালতে/বারে কমপক্ষ দশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোন একজন অ্যাডভোকেটের অধীনে
ছয় মাসের শিক্ষানবীশ কাল অতিক্রম করতে হয় পাঁচ টি ফৌজদারী ও পাঁচ টি দেওয়ানী মামলা চর্চা করে।
তারপর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় (নেগেটিভ মার্ক বাদে) ৫০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫০ নম্বর পেয়ে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে তৃতীয় ধাপে ৫০ নম্বরের মধ্যে ২৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বার কাউন্সিল সনদ অর্জন করার পরে গেজেটে নাম প্রকাশিত হওয়ার পরে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি পরিচয় দিতে পারেন।
অপর পক্ষে যিনি ইংল্যান্ডের আদালতে (অস্টোলিয়া) আইন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন তাকে ব্যারিস্টার বলে অভিহিত করা হয়। আমেরিকার আদালতে যারা প্র্যাকটিস করেন তাদের কে এটর্নী বলে অভিহিত করা হয়।
একজন ব্যারিস্টার হতে হলে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আইন বিষয়ে ইংল্যান্ড থেকে ডিগ্রী নিয়ে নিম্নোক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের (লিংকনস্ ইন, গ্রেইস ইন,ইনার টেম্পল,মিডল টেম্পল) যে কোন টি থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে তবেই তাকে ব্যারিস্টার বলা হয়।
চ
ল
বে…..
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট