কলমেঃ সালমা বেগম
***************************
নারী চায় একটু ভালবাসা!!
যে ভালোবাসায় নারী শান্ত নদী হয়ে উত্তাল ঊর্মিমালা কে লুকিয়ে রাখে হৃদয়ের গহীনে।
প্রিয় মানুষটির একটু স্নেহের পরশ পেলে নারীর কোমল হৃদয়ে ভালোবাসার চাদর বিছিয়ে দিয়ে উজার করা ভালোবাসায় শীতল ও শান্ত করে দেয় অশান্ত পুরুষের ক্লান্ত হৃদয়কে।
অবজ্ঞা অবহেলা পেলে নারী হয়ে ওঠে খরস্রোতা নদীর উত্তাল ঊর্মিমালা, সূর্যের উত্তপ্ত প্রখর তাপ, ভেতর থেকে বের হয় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত লাভা ।
নারী কে ভালবেসে শাসন করলে,হয়ে যায় অবুজ শিশুর মতো কোমল নীরব, নিস্তব্ধ।
সেচ্ছায় মাথা নতো করে নিজেকে সঁপে দেয় প্রিয় মানুষের তরে, শুধরে নেয় নিজেকে, নিজের সমস্ত ত্রুটি গুলি।
মানিয়ে নেয় সকল অভাব,অনটন,দুঃখ,কষ্ট, লাঞ্চনা গঞ্জনা ,,অবহেলা, না পাওয়ার যন্ত্রণা ।
নারী চায় শুধু স্নেহের পরশে প্রিয় মানুষের একটু ভালোবাসা।
দিন শেষে তার মুখে শুনতে চায় আহারে সারাদিন কতোইনা কষ্ট করেছো!! কতো ধকল গিয়েছে তোমার উপর, খেয়েছো তুমি! গোসলটা সেরেছো তো!! শরীরটা ঠিক ঠাক আছে তোমার !! একটু বিশ্রাম নিয়ে নাও। এটুকুন প্রাপ্তিই নারীর জন্য যথেষ্ট , পরম পাওয়া। আত্মতৃপ্তিতে হৃদয় ছুঁয়ে যায় । সারাদিনের কর্মের স্বীকৃতি আত্মমর্যাদা পেয়ে নারী আনন্দিত ও গর্বিত হয়ে যায় !!! নারীর কর্ম স্পৃহা কে আরও বেগবান করতে দিন শেষে এটুকুনই যথেষ্ট। পাশে বসে এই স্নেহের পরশটুকুন’ই নারীকে দ্বিগুণ সাহস উদ্দীপনা দিয়ে কর্মের গতি বাড়িয়ে দেয় ।
নারী বিশ্রাম চায় না !!
চায় একটু ভালোবাসা।
ঐ টুকুন পেলেই পরিবারের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রিয়তমা হয়ে নারী আটকে যাবে চিরতরে।
অবজ্ঞা,অবহেলায় হয়ে ওঠে নারী কঠিন থেকে কঠিন ,অহংকারী,
হিংস্র, বেয়াদব,ব্যাভিচারী বেপরোয়া ।
তখন ভালোবাসার চির বন্ধন কে ও ছিন্ন করতে দ্বিধা বোধ করে না।
ফলে সৃষ্টি হয় ঝগড়া-ফ্যাসাদ, হানাহানি,মারামারি,কাটাকাটি,
বেপরোয়া উশৃংখল নারী। পরিবারে সর্বদা লেগে থাকে অশান্তি।
পরিবারে সবসময় অবজ্ঞা,
অবহেলা,অপমান, অমর্যাদা পেতে থাকলে নারী একটু সুখের আশায় ভুল পথে পা বাড়িয়ে কেউ কেউ জড়িয়ে যাচ্ছে পরকীয়ার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডে। লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন অসামাজিক অনৈতিক কাজে।নিজেকে রক্ষায় বাধ্য হচ্ছে ডিভোর্স এর মতো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিতে। ধ্বংস হয়ে যায় সুন্দর সাজানো সংসার।
অথচ একটু ভালোবাসা পেলে নারী ছেড়া কাপড় পড়ে ও আমৃত্যু কাটিয়ে দেয় স্বামীর সংসারে কোন অভিযোগ থাকে না।
নারী আসলে কি চায় !!!
নারীর প্রতিটি সমস্যার পিছনে কারণ গুলি চিহ্নিত করে ভালোবাসার চাদর মুড়িয়ে দিলে আটকে যাবে নারী চিরতরে স্বামীর গৃহে।
বিলুপ্ত হবে সকল সমস্যা।
বরং ছটফট করবে নিজ গুণে জীবন সঙ্গীর পরিবার কে নিঃস্বার্থ ভাবে কিছু দেওয়ার জন্য।
পুরুষ পরিশ্রম করে পারিশ্রমিক নিয়ে ঘরে ফিরে…
আর নারী সকাল থেকে রাত অবধি বিরামহীন কাজ আর কাজ। তার কাজের কোন পারিশ্রমিক নেই, নারী দিন শেষে প্রিয় মানুষের মুখে শুনতে চায় আহারে তুমি হাঁপিয়ে গেছো একটু নিজের খেয়াল রাখো। এটুকুই তার কর্মের প্রাপ্তি ও সর্বোচ্চ মজুরি। নারী আর কিচ্ছু চায়না। চায় স্বীকৃতি আত্মমর্যাদা।
এটুকুন পেলেই নারী আমৃত্যু আটকে যাবে স্বামীর ঘরে।
নারী সকল পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারে শুধু একটু ভালোবাসার ছোঁয়া পেলে,
দিন শেষে খোঁজ নিন। নারী আগলে রাখবে আপনাকে আপনার পরিবার কে ,
বিলিয়ে দিবে নিজেকে।
নারী সত্যিই রহস্যময় চরিত্র।
“নারীকে আপনি যা দিবেন, তার দ্বিগুণ ফিরিয়ে দিবে, সেটা হোক ভালবাসা কিংবা অবহেলা”
রচনা কালঃ ২৪-০৯-২০২৩খৃঃ
স্থানঃ ঢাকা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট