ডেক্স রিপোর্ট :
এবার ৫ শক্তিশালী দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনসের।(আইসিএএনডব্লিউ) তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বে ৯টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, ভারত, ইসরায়
এই তালিকায় থাকা দেশগুলোর ভেতর সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার কাছে (৫৯৯৭টি)। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কাছে রয়েছে ৫,৪২৮টি পারমাণবিক অস্ত্র। এই দুই দেশের কাছেই আইসিএএনডব্লিউর তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর ৯০ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এ দুটি দেশে।
আইসিএএনডব্লিউ জানায়, একটি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা সম্ভব। এর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। যদি নিউইয়র্ক শহরে একটি নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটে তাহলে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ১৬০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ ৯টি পারমাণবিক অস্ত্রসম্পন্ন দেশের কাছে একত্রে ১৩ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এগুলো হিরোসিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অনেকগুণ ক্ষতিকর। সম্প্রতি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত যুদ্ধে রূপ নেওয়ার পর ৫টি পরমাণু অস্ত্রসম্পন্ন দেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এ দেশগুলো হলো- রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া।
রাশিয়া
বিশ্বের অন্যতম পরমাণু শক্তিধর দেশ হামাসের হামলার পরপরই ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের অবস্থান ঘোষণা করে। হামলার মাত্র দুই দিনের মাথায় সোমবার (৯ অক্টোবর) রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে মত দেন।
মস্কোতে আরব লিগের প্রধান আহমেদ আবুল আহমেদ আবুল ঘেইতের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের আলোচনাই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়। কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, সেদিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
এর আগে, একই দিনে রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের বর্তমান সংঘাতের পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক বিস্তৃত হতে পারে। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। যার কারণে এটি আজ আমাদের বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়াও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয় রাশিয়া। এতে হামাসের বিরুদ্ধে কোনো নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে পারেনি সংস্থাটি।এদিকে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) স্থল অভিযান নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান পরিচালনা করে, সে ক্ষেত্রে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা ‘অগ্রহণযোগ্য’ পর্যায়ে পৌঁছাবে।
শুক্রবার সাবেক সোভিয়েত অঙ্গরাজ্য কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে এক বক্তব্যে এই বার্তা দেন। পুতিন বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার খুবই জটিল একটি ব্যাপার এবং এর পরিণতিও হবে মারাত্মক। কারণ এই পরিস্থিতি (গাজায়) স্থল অভিযান পরিচালিত হলে সাধারণ বেসামরিক নিহতদের সংখ্যা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছবে এবং তা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
চীন
পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর অন্যতম চীন। বিশ্বরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ দেশটি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মূল কারণ হিসেবে ফিলিস্তিনের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচার দায়ী বলে বলে মন্তব্য করেছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের মূলে রয়েছে ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে দীর্ঘ বিলম্ব। ঐতিহাসিক এ অবিচারের কারণে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগে ফেলা কোনোভাবেই সঠিক ছিল না।
এর আগে হামাসের হামলার পর যুদ্ধ শুরু হলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন চীন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। এ সময় তিনি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় ও যাতে পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
চলমান সংঘাত নিয়ে চীন তাদের বিবৃতিতে সাফ জানায়, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এ সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। কোনো শান্তি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা চলতে পারে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে চীন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
চীনের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেল আবিব। বেইজিংয়ে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউভাল ওয়াকস বলেন, তারা চীন থেকে হামাসের এ হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দার আশা করেছিল। কেননা চীনকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে দেখে ইসরায়েল।
ভারত
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, দেশটি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে এবং সহিংসতার বিপক্ষে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সম্পর্কে ভারত সচেতন উল্লেখ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (১৩ অক্টোবর) বলেন, ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে ভারতের নীতি অনেক পুরোনো। ভারত ইসরায়েলের পাশে রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটি নিরাপদ ও স্বীকৃত সীমানার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর রা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট