আমার কিছুই নাই✍️
আমার ছোট্ট একটা বাড়ি ছিল পদ্মা নদীর তীরে,
সাত পুরুষের জনম গেছে খড়কুটার এই নীড়ে।
একটুখানি উঠোন ছিল ছোট্ট দুটি ঘর,
পাশেই ছিলো দাদা-দাদির পুরনো কবর।
বাড়ির এক পাশে পুকুর ছিল কানায় কানায় জল,
দখিনা বাতাসে ঢেউ উঠে তার করত টলমল।
হালের তিনটা গরু ছিল একটা দুধের গাই,
ওরা ছিল প্রধান সম্বল সবাইকে জানাই ।
ঘরের দরজায় ছিল কিছু সাদা বেলির চারা,
সারা বাড়ি থাকতো ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা।
লাল পুঁইয়ের এক মাচা ছিল উঠণের এক পাশে,
পুঁইয়ের ডগা দুলত সেথায় দক্ষিণা বাতাসে।
এই বাড়িতে বেশ সুখেই যাচ্ছিল দিন কেটে,
যেমন সুখে শিশুরা সব ঘুমায় মায়ের পেটে।
আমার এ সুখ সইল না আর পদ্মা নদীর প্রাণে,
বানের স্রোতে ঢেউ তুলে মোর বক্ষে আঘাত হানে।
ঘরবাড়ি সব ভেঙে নিল ভাসালো দুই আঁখি,
অশ্রু ছাড়া কিছুই যে মোর রাখল না আর বাকি।
কাল যেখানে ছিল মোদের মাথা গোঁজার ঠাঁই,
আজ সেখানে ঢেউয়ের স্রোত আমার কিছুই নাই।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট