যশোরের কেশবপুর সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভুল সিজারিয়ান অপারেশনে সীমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপারেশনে সীমার মৃত্যু হলেও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাটি সুস্থ আছে এবং এটি তার দ্বিতীয় কন্যা। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গৃহবধূর মৃত্যুর খবর দিলে স্বজনরা এবং স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ক্লিনিকে হামলা চালায়। এ সময় ডাক্তার নার্স ও কর্মচারিরা ক্লিনিক ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ৯টার দিকে নিহতেতর মরদেহ ও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা সন্তানকে পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে যায়।
৫ আগস্ট দুপুরের দিকে কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের সহিদুল ইসলামের স্ত্রী সীমা খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে স্থানীয় সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যার দিকে তার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনকালেই ভুল অপারেশনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ।সীমার স্বামী সহিদুল ইসলাম বলেন, খুলনার সার্জিকাল ডাক্তার আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে তার স্ত্রীকে অপারেশন করার জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে তার চুক্তি হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই ডাক্তারকে দিয়ে অপারেশন না করে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করার ফলে ভুল অপারেশনে সীমার মৃত্যু হয়েছে।সার্জিক্যাল ক্লিনিকের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, গৃহবধূ সীমাকে ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ ও অঞ্জলি রায়কে দিয়েই অপারেশন করা হয়। কিন্তু কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান। তিনি আরও বলেন, উত্তেজিত জনতার ভয়ে ঘটনার দিন রাতে ক্লিনিক বন্ধ রাখা হলেও শনিবার যথারীতি ক্লিনিক খোলা হয়।এ ব্যাপারে জানার জন্য ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, সার্জিক্যাল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাংচুরের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” এবং যদি ক্লিনিক কতৃপক্ষের কোন গাফিলতি থাকে তবে তার শাস্তি পেতে হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট