রুম্পাও নাকি প্রেমে পড়েছিল, চৈত্রের এক ক্লান্ত দুপুরে চৌচির ফসলের মাঠের;
সে কি প্রেম! কচু পাতায় জল ভরে সকাল-বিকাল সেবা দিত নাওয়া-খাওয়া ভুলে,
ওড়নার ছায়ায় সূর্যকে আড়াল করে, নিজে পুড়ে তামাটে হতো রোজ।
প্রেমে পড়েছিল! এক পা ওয়ালা শালিকের, গুটি বসন্তে ভরা কবুতরের;
রোজ যাকে দেখতে যেত অর্ধ ভাঙ্গা দেয়ালের কর্ণিশে কিছু সরিষার দানা হাতে।
ঘরের কোণায় লুকানো ব্যাঙের সাথেও নাকি গভীর প্রেম ছিল,
বাড়ির লোকের গালমন্দ, প্রতিবেশির কানাকানিতেও তোয়াক্কা নেই একবিন্দু,
কিছু ভাত, পোকামাকড় এনে চুপিচুপি রাখত অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালের কোণে।
রঙ্গিন ফুলের পাপড়ি,প্রজাপতির পাখা, রংধনুর রং প্রেম হয়েছিল মনে মনে,
সাগরের ঢেউ, নদীর মোহনা,আকাশের সীমানা, পাহাড়,অরণ্য দিয়েছিল প্রেম।
দূরের শতবর্ষী মৃত বট গাছের সাথেও পরকিয়া ছিল,
লোকে বুঝেছিল, গাছ মরে যাওয়ার পর কাঁন্না দেখে।
বিলের ধারের শাপলার সাথেও প্রেম ছিল, দু’বেলা দেখতে যেত নিয়ম করে,
আলতো হাতের ছোঁয়ায় ছুঁয়ে দিত ফুটন্ত পাপড়িগুলোকে খুব যত্নে।
রুম্পা নাকি প্রেমহীন?
বলেছিল, পাড়ার যুবক,স্কুলের সহপাঠী, কলেজের বন্ধু, অফিসের কলিগে;
অভিজ্ঞ বৃদ্ধ প্রেমিক ও বুঝেনি তার প্রেমিক মন।
জানেনা, আজো কেউ তার অসমাপ্ত গল্পের ইতিকথা—-
নূর -এ- সিকতা
তাং ৩০/১২/১৯
সকাল ৭:০০
ইসলামপুর, জামালপুর
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট