ঘুষ খোর পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, আজ তিনি মিথ্যা জর্জরিত, তিনি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় যশোর প্রেশক্লাবের ১ নং কনফারেন্স রুমে এক
ঘুষ খোর পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, আজ তিনি মিথ্যা জর্জরিত, তিনি ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মোঃ মাসুম কবির যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা, পরিচালক যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় এবং পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ব্যবস্থাপক ডেন্টিস্ট পয়েন্ট যশোর। গত ১২.০৮.২০২২ তারিখে পুলিশ আমার কর্মস্থল। ডেন্টিস্ট পয়েন্ট যশোর থেকে আমাকে রাত ১টায় কোতয়ালি থানায় ডেকে নিয়ে আটক করে। আমি জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে যশোর শহরের বেজপাড়ার বাসিদা মিহির মিত্র নামের এক ব্যক্তি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন এবং আমাকে ওই মামলায় আটক করা হয়েছে।প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মিহির নামের কোন ব্যক্তিকে আমি চিনি। ফলে তার সাথে আমার কোন রূপ লেনদেন বা প্রতারণা সুযোগ নেই। কথিত ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আমার অংশীদারিত্বে তৎকালিন পরিচালিত যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রোগী ভর্তি করানোকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনে তার (মিহির) সাথে প্রতারণা করেছি। কিন্তু যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে অংশীদার হিসেবে পরিচালক হলেও সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল কবির তুহিন। আমি আমার চাকরি ক্ষেত্র ডেন্টিস্ট পয়েন্টের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকায় মানসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আর্থিক লেনদেনসহ আয়-ব্যয়ের সকল কিছুর দেখভাল করতেন তিনি। এজন্য মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কোন লেনদেন করার সুযোগ আমার ছিল না। কেন্দ্রে রোগী ভর্তির নিয়ম অনুযায়ী কোন রোগী ভর্তি হতে হলে রোগীর অভিভাবক ও কেন্দ্রের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি করা হতো। এবং ভর্তির পর রশিদের বিনিময়ে টাকা গ্রহণ করা হতো। মিহির যে মামলা করেছেন তার সাথে এমন কোন তথ্য প্রমাণ নেই।গত ১২ আগস্ট জনৈক মিহির মিত্রের যে মামলায় আমাকে আটক করা হয় তা দায়ের করা হয়েছিল ওই দিন রাত সাড়ে চার এবং আমাকে আমার কর্মস্থল থেকে পুলিশ উঠিয়ে আনে রাত ৯টায়। মামলার অভিযোগটি কোন রকম তদন্ত না করেই আমাকে আটক করে হয়রানি করার মূলে রয়েছে এক জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমার আদালতে করা মামলা, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ সদর দফতর ও পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ে অভিযোগ করা বলে আমি মনে করছি।উল্লিখিত দফতরগুলোতে করা অভিযোগ আমি আপনাদের সদয় অবগতির জন্য নিচে বর্ণনা করছি – মোঃ রোকিবুজ্জামান বিপি নং-৮০০৬১০২৩৯৭ ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) তৎকালিন ইনচার্জ চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি, কোতয়ালী মডেল থানা, যশোর। গত ২২/০৫/২১ তারিখ রাত ১টার সময় চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে আমাকে ডেকে নিয়ে যশোর শহরের বোল রোড ফুড গোডাউনের বিপরীতে অবস্থিত যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে ২২/০৫/২০১১ ইং তারিখে মাদকাসক রোগী মোঃ মাহাফুজুর রহমান, পিতা- মোঃ মনিরুজ্জামান, সাং নারায়ণপুর, থানা জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গার মৃত্যুর ঘটনায় আসামি করা হবে না বলে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা মুষ হিসেবে অন্যায়ভাবে দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমাকে হুমকি দেন এবং ২২/০৫/২০১১ তারিখ দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে (২৩/০৫/২০২১ ইং তারিখে) আমাকে আমার বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যশোর কোতয়ালী থানার কেস নং-৭৩, তারিখ-২৩/০৫/২১, ধারা-৩০২/৩৪ দবিঃ মামলার আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করেন এবং পরবর্তীতে জবানবন্দিতে আমার নাম বলবার জন্য মামলার স্বাক্ষী ও আসামীদের উপর চাপ প্রয়োগসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আমি যশোর শহরে অবস্থিত দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ ডেন্টাল সেবা কেন্দ্র ডেন্টিস্ট পয়েন্ট এর ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছি, পাশাপাশি যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, ৩৭ রেল রোড যশোর এর মালিকানা সদস্য ছিলাম। কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল কবীর তুহিনের সার্বিক দায়িত্বে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছিল। ২২/০৫/২০২১ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৭টা ২২ মিনিটের সময় (সিসি টিভির ফুটেজে দৃশ্যমান) মাদকাসক রোগীদের মধ্যে রুটি তৈরীকে কেন্দ্র করে গোলযোগ হয় এবং মাহফুজুর রহমান (১৯) নামে এক রোগীকে কয়েকজন মিলে।মারপিট করে। রোগীটি অসুস্থ হলে ঐ সময় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজেই রোগীকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান, এরপর রোগীটি মারা যান। যা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল কবীর তুহিন তার ০১৯০৪-৮৮২০৭৫ নং মোবাইল হতে ঐ দিন বেলা ১২টা ২৯ মিনিটে আমাকে জানান। সে সময় আমি আমার কর্মস্থল ডেন্টিষ্ট পয়েন্টে ছিলাম। এরপর রোগীর বাবাকে খবর দিলে তিনি যশোর আসেন এবং তার ছেলে অত্যন্ত খারাপ ছিল মর্মে ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই বলে জানান। ইন্সপেক্টর মোঃ রোকিবুজ্জামান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মৃতের বাবাকে দিয়া একটি হত্যা মামলায় মালিক পক্ষকে হুকুমের আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করান। তিনি দারিকৃত টাকা না পাওয়ার কারণে ২৩/০৫/২০১১ ইং তারিখে ৫ (পাঁচ) জন রোগীকে ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করেন যাতে তারা মৃত্যুর নির্দেশদাতা হিসেবে কেন্দ্রের পরিচালক মাসুম কবীরের নাম বলে। আমি যেহেতু চাকুরিজীবী সেহেতু রোগীদের দৈনন্দিন দেখভালের কোন দায়িত্ব পালন করতাম না। কেন্দ্রের ১৬ টি সচল সিসি ক্যামেরায় সকল কিছু দৃশ্যমান। রোগীর মৃত্যু সংক্রান্তে আমার উপস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও মামলাতে ইন্সপেক্টর মোঃ রোকিবুজ্জামান তার মুষের দাবিকৃত টাকা না পাওয়ার কারণে মামলার আসামী ও স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্দেশদাতা হিসেবে আমার নাম বলাবার চেষ্টা করেন। দুই জন সাক্ষীকে তার কথা মত মাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি না দিলে তাদেরকে মামলার আসামি করার হুমকি প্রদান করেন। তার কথা শুনলে মামলায় ‘রাজস্বাক্ষী’ করবেন এবং বাইরে থাকতে পারবে মর্মে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন এবং কথা না শুনলে জেলে পচে মরতে হবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি শিখিয়ে দেন যে, মাজিস্টেটের কাছে এভাবে বলতে হবে যে, একজন পরিচালক (আশরাফুল কবির তুহিন) মাদকাসক্তি কেন্দ্রে উপস্থিত ছিল সে ফোনে অন্য পরিচালকের সাথে কথা বলে মারতে বলে।ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান ও সাক্ষিদের কথপোকথনের মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করা ভিডিও চিত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।তিনি আরো বলেন যে, কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়া মামলার একজন তদন্ত কর্মকর্তা আসামী ও স্বাক্ষীদের দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তির নাম বলাতে পারেন না। এটি সুন্দর আইন লংঘন। রাষ্ট্রের পোশাকধারী এই দুর্নীতিপ্ররণ কর্মকর্তার ব্যক্তিআচরণ সম্পূর্ন ক্ষমতার অপব্যবহার। আমি জানি এটা সমগ্র পুলিশের দায় নয়। এ ঘটনায় আমি ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে প্রনালীসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নং এসপিএল ০৪/২০২২। এরপর মামলা তুলে নিতে ইন্সপেক্টর রোকিবুজ্জামান আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগসহ আরও মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করলে আমি পুলিশ সদর দফতর ও পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করি। উল্লিখিত দুই অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং আমার সাক্ষ্য দেয়া হয়েছে।পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকা যে কত দুরুহ তা আমি বুঝতে পারছি। অতীতে আমার বিরুদ্ধে কখনও কোথাও কোন অপরাধের নজীর বা মামলা নেই। শুধুমাত্র একজন পুলিশের মুখের প্রতিবাদ করে আমি এখন একাধিক মামলার আসামি ও নানান হয়রানির শিকার। সুষ্ঠু তদন্ত হলে মামলাগুলোয় আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যে সঠিক নয় তা প্রমাণিত হবে। আমি আরও হয়রানি ও ভোগান্তির আশংকায় নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আমি জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চায়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট