হাফিজুর শেখ যশোর
যশোরের শার্শায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল,তরুণ কৃষক মনজুরুল আহসান
হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার মনজুরুল আহসান। বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি। প্রতিদিনই হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি দেখতে ও কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
তরুণ কৃষক মনজুরুল আহসান শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। শার্শা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও কর্মকর্তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথমবারের মতো ১ হাজার গাছ রোপণ করেন তিনি। বাহারি রঙের ফুলকপি দুটির নামও সুন্দর। গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ‘ভ্যালেন্টিনা’ আর হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ‘ক্যারোটিনা’।মনজুরুল আহসান বলেন, ‘আমি যখন জমিতে ফুলকপি চাষ করি; তখন এলাকার অন্য চাষি বলছিলেন এ ফুলকপি কি বিক্রি করতে পারবো? আমার মনে জোর ছিল যে, বাজারে বিক্রি করতে পারবো। সেই আশায় চাষ করে বেশ সাড়া পেয়েছি। প্রতিদিন ফুলকপি কেনার জন্য জমিতে ক্রেতারা আসছেন। এ কপি চাষে কষ্ট কম বলে নিজেই চাষ করেছি, তাতে খরচও কম হয়েছে।দুই জাতের ফুলকপি চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে মনজুরুল আহসান বলেন, ‘ভ্যালেন্টিনা ও ক্যারোটিনা জাতের ফুলকপি সাধারণ ফুলকপির মতোই পরিচর্যা করতে হয়। আমি এবার পরীক্ষমূলক চাষ করলেও আগামীতে বেশি চাষ করার ইচ্ছা আমার আছে।উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, সাদা ফুলকপির চেয়ে এ দুই জাতের রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি।এবং দেখতেও সুন্দর খেতেও শুসাদু। গতানুগতিক সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্য বেশি। তাই কৃষকের লাভ ও বেশি হয়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা বলেন,প্রথমবার শার্শায় বাহারি রঙের ফুলকপি চাষে ভালো ফলন পেয়েছে চাষিরা। তাই অন্য কৃষকের মাঝেও আগ্রহ তৈরি করেছে। সাধারণ ফুলকপি যেখানে ২০-৩০ টাকা বিক্রি হয়, আর সেখানে এটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট