দৈনিক খবর পদ্মা সেতু ডেস্ক
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পৃথক স্থান থেকে এক যুবক ও এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) ইউনিয়নের খানাবাড়ি এলাকায় দোকানের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুজন মিয়ার (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে বাঙালিনগর এলাকায় নিজ ঘরের আড়া থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুজন খানাবাড়ি এলাকার মৃত আহাম্মেদ আলীর ছেলে এবং ফরিদা বাঙালিনগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমের মেয়ে। গোপনে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
তাদের মরদেহ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছেন মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সরকার রিপন ও থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুজন মিয়া গতকাল রাতে তার নিজ দোকানে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সকালে সুজন দোকানের সাটার খুলতে দেরি করে। তার স্বজনরা এসে দোকানের সাটার ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় সুজন সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সরকার রিপন বলেন, দুজন আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে একজন বাঙালিনগর ও আরেকজন মির্জানগর এলাকায়। একজন বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করেছে এবং আরেকজন শুক্রবার সকালে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে রায়পুরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়াত হোসেন পলাশ বলেন, মির্জানগরে দুজনের আত্মহত্যার ব্যাপারে খবর পাই। পরে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারও পক্ষ থেকে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তাদের মধ্যে কোনও প্রকার সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু থানায় কোনও অভিযোগ আসেনি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট