খবর পদ্মা সেতু ডেস্ক
হরিণের মাংস বিক্রি করা অপরাধ। সেই অপরাধটি বাগানের ভিতরে করা হয়েছে। কিন্তু ওই মাংস হরিণের নয়, গরুর ছিলো। প্রতারণা করে হরিণ বলে চালানো হচ্ছিলো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ওই গরু চোরাই বলে অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মামলা হলে কোন ধারায় হবে? ঘটনাটি মোংলার।বাগেরহাটের মোংলায় চুরি করা গরু জঙ্গলে জবাই করে তা হরিণের মাংস বলে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আর কোন ধারায় মামলা হয়েছে তাও পরিষ্কার নয়।গত রোববার সকালে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৌদ্ধমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় করা মামলার বাদী চিলা ইউনিয়নের বৌদ্ধমারী গ্রামের সফর জমাদ্দারের ছেলে নজরুল জমাদ্দার। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সুন্দরবনের পাশে তার বসবাস। তার আয়ের উৎস একটি মাত্র গাভিন গরু। রোববার সকালে গরুটি মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দেন। তবে দুপুরে গিয়ে মাঠে আর গরুটি খুঁজে পাননি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন তার গাভিন গরুটি পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন ইউনিয়নের শাহজাহান শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৩৬), হামেদ শেখের ছেলে বাবুল শেখ (৩৭) ও আফজাল ব্যাপারীর ছেলে সাজ্জাক ব্যাপারী চুরি করেছেন। পরে সুন্দরবন ভেতরে নিয়ে জবাই করে হরিণের মাংস বলে বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, গরু চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট