খবর পদ্মা সেতু নিউজ
রেললাইনে মা-মেয়ের লাশ পাশে জন্মদিনের কেক।
জন্মদিনের কেক হাতে মেয়েকে নিয়ে রেললাইনে উঠেছিলেন মা। তখন বিকেল ৩টা। ওই লাইন দিয়ে দুরন্তগতিতে ছুটছিল খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস। মেয়েকে এক প্রকার জোর করে নিয়ে ঢাকা থেকে আসা ট্রেনটির নিচে ঝাঁপ দিলেন মা। ট্রেন চলে যেতেই স্থানীয়রা এসে দেখেন, রেললাইনে পড়ে আছে দুটি নিথর দেহ। পাশে ছড়িয়ে আছে জন্মদিনের বড় কেক, ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ফোন। এমনই মর্মান্তিক বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।গতকাল সোমবার যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটির পোলতাডাঙ্গা শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর মেয়ে লাকি বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন মিম (১২)। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর লাকি বেগম একমাত্র মেয়ে মিমিকে নিয়ে স্থানীয় সাতমাইল বাজারে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর বিয়ে করেছিলেন লাকি। সেই সংসারও টেকেনি।
লাকি বেগমের ছোট বোন রোজিনা খাতুন জানান, তিনি জানতেন তার বোন সকালে ডাক্তার দেখাতে যশোর শহরে গেছেন। পরে তার বোনের মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয় তারা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। তবে কী কারণে তিনি মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন জানি না।
স্থানীয় সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সেলিম হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহের পাশ থেকে একটি বড় আকারের কেক, একটি মোবাইল ফোন ও দুটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মনিতোষ বিশ্বাস বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তারা। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট