(🪄প্রথম পর্ব)
স্টাফ-রিপোর্টারঃ
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলাধীন ফৈলজানা ইউনিয়নের কচুগাড়ী গ্রামে ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহন কারী এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ সুদীর্ঘ দেড় যুগ ধরে শতাধিক দুঃস্থ-দরিদ্র অসহায় পরিবারকে বিনামুল্য স্বাস্থ্য তথা চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। তিনি পল্লী চিকিৎসক কোর্স সমপন্নকারী একজন রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার!
শৈশব কাল থেকে স্বপ্ন দেখতেন একজন বড় ডাক্তার হওয়ার।
ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হয়ে তিনি হয়তো বড় ডাক্তার হতে পারেননি কিম্তু প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছেন মানুষ হওয়ার প্রদীপ্ত বাসনায়!
তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন একজন আরএমপি ডাক্তার।
তিনি অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এছাড়াও আইন শাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
বংশ লতিকায় তার পিতা কবি ডাঃ আব্দুল হালিম মাস্টারও একজন সরকারী প্রশিক্ষন প্রাপ্ত রেজিস্টার্ড পল্লী চিকিৎসক।
আরএমপি আকাশ এর দাদা প্রয়াত ডাঃ আহাম্মদ আলী ছিলেন তৎকালীন এমবি (কলিকাতা) ডাক্তার। ব্রিটিশ সময়ে পশ্চিম বঙ্গ থেকে মেডিক্যালে পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়েছিলেন প্রয়াত ডাঃ আহাম্মদ আলী। আরএমপি আকাশ এর দাদী বেগম খোদেজা আহাম্মদ ছিলেন উচ্চ প্রাইমারী ব্রিটিশ পাশ।
তিনি ক্লাস টু ও ক্লাস ফোরে বৃত্তি লাভ করে চাটমোহর তথা পাবনা অঞ্চলের নারী শিক্ষাকে জনসমক্ষে নিয়ে এসেছিলেন! বেগম খোদেজা আহাম্মদও চাকুরী করতেন পুর্ব পাকিস্তান স্বাস্থ্য বিভাগে।
আরএমপি আকাশ এর দাদা ডাঃ আহাম্মদ আলীর পিতা প্রয়াত ডাঃ হারুন অর রশিদ সরদারও ডাক্তার ছিলেন। এলাকায় প্রবাদ আছে আরএমপি আকাশ এর বংশ ডাক্তারদের বংশ!
শৈশবের অকুন্ঠ লালিত স্বপ্ন পূরন করতে আরএমপি আকাশ তার পিতার সাথে থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রতি বিশেষ আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
রক্তে প্রবাহিত হতে থাকে মানব সেবার পরম মমত্ব বোধ…
আরএমপি আকাশ পাবনা সিভিল সার্জনের তত্বাবধানে ও চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর টিএইচ এ আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ এর ব্যবস্থাপনায় সরকারী ভাবে (পল্লী চিকিৎসক) আরএমপি প্রশিক্ষন গ্রহন করেন।
তিনি তার জন্মভূমি ফৈলজানায় হালিমপুর(হিড়িন্দা) বাজারে প্র্যাকটিসনালয় গড়ে তোলেন।
আশপাশের গ্রাম কচুগাড়ী,সোহাগবাড়ী,পবাখালী, ধুপুলিয়া-দিঘুলিয়া, কদমতলী,সাইপাই,কুয়াবাসী, আটলংকা,সেনগ্রাম, বন্যাগাড়ী, খতবাড়ী, শাহাপুর,বনগ্রাম,
জগন্নাথপুর, চকমারম, নেংড়ী সহ অনেক গ্রামের শতাধিক অসহায় দুঃস্থ-দুঃখী পরিবারের সদস্যদের দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন।
তার পিতা প্রয়াত কবি ডাঃ আব্দুল হালিম মাস্টারও অসংখ্য পরিবারের সদস্যদেরকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দান করেছেন। পিতা, পিতামহ-পিতামহী, প্রপিতামহের পদাংক অনুসরন করে ধন্য জীবনের অধিকারী আরএমপি আকাশ।
তার কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ জীবনে চাওয়া-পাওয়া বলতে কিছু নেই…
মানুষের ভালোবাসার চেয়ে কি দামী কিছু এই পৃথিবীতে আছে? নাই!
মানুষ আমাকে ও আমার আব্বাসহ আমাদের বংশের লোকেদের ডাক্তার বংশ বলে এটা কিন্তু অনেক বড় পাওয়া!
সরেজমিনে তার চেম্বারে বসে কয়েকজন হত দরিদ্র রগী ও সেবা গ্রহীতার সাথে কথা বলে জানা গেলো আরএমপি আকাশ সত্যিকার অর্থেই মনে-প্রাণে একজন সেবক!
তার রক্ত কণিকায় সেবার মানসিকতা প্রবাহমান।
রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার আকাশ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রজাশ করে বলেন, জীবনে বড় স্বপ্ন একটি হাসপাতাল গড়ার…
তারই সুত্র ধরেই এই যে চিকিৎসা সেবা প্রদান!
তিনি বলেন, আমার দাদা ও দাদাী প্রয়াত হয়েছেন বহুদিন বিগত হয়েছে। আমি তাদের জন্য কিছু করার বাসনায় মনে-মনে ঠিক করেছি তাদের দুই জনের নামে ভবিষ্যতে হাসপাতাল করার।সেই সুত্র ধরে প্রস্তাবিত নাম দিয়েছি
“বেগম খোদেজা আহাম্মদ দাতব্য চিকিৎসালয়”
আমি এখন বিনামুল্যে যাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করি
তা “বেগম খোদেজা আহাম্মদ
দাতব্য চিকিৎসালয়” এর ব্যানার থেকে…
লোকে হয়তো জানেনা আমার এ পরিকল্পনার কথা!
আল্লাহ তাওফিক দিলে জীবনের এই স্বপ্নটা পূরন হবে ইনশা আল্লাহ!
তিনি আরও বলেন, মানুষের ইচ্ছা শক্তির কাছে কোন কিছুই অসম্ভব নয়! হয়তো অর্থ কড়ি একটা বড় ধরনের ফ্যাক্ট হয়ে দাড়ায়……
মফস্বলে একটা হাসপাতাল করতে হলে মিনিমাম একটা এমাউন্ট প্রয়োজন কিন্তু আমি মনে করি সকলের সহযোগিতা পেলে ও আপন ইচ্ছা শক্তি এবং সর্বোপরি আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের অপার রহমতে সবই সম্ভব!
তিনি আরও বলেন, জীবনে মানব সেবার চেয়ে মহৎ কাজ কি আছে!
তার বক্তব্যে বোঝা যায় যে, তার আর্থিক সঙ্গতি থাকলে তিনি অচিরেই ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করে দিতাম।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট