যশোরের বেনাপোলে ব্যাপোক অনিয়ম ও কালোবাজারে ট্রেনের টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় এনামুল হক মামুন নামে এক বুকিং সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বেনাপোল রেল স্টেশনে ডেপুটেশনে কর্মরত ছিলেন।গত বুধবার তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে ঘটনাটি শনিবার (২০ আগস্ট) জানাজানি হয়।এ ঘটনায় একটি তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন থেকে ইব্রাহিম নামে একজন টিকিট কালেক্টরের হাতে এ ঘটনাটি প্রথম ধরা পড়ে। তার পর বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল।বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুন গত ৭ জানুয়ারি বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে ডেপুটেশনে যোগদান করেন। এখানে যোগদান করার পর তিনি অফিসারদের গোপন কার্ড পাসওয়ার্ড চুরি করে অফিসারদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চার সিটের প্রতিটি কেবিন ৪ হাজার ৪৬৪ টাকায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে তার বিক্রি করা ৪ লাখ টাকার টিকিটের তথ্য ধরা পড়েছে। এছাড়া তিনি কার্ড পাসের মাধ্যমে ব্লক করে যাত্রীদের কাছে নগদ কয়েক লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছেন।তিনি আরও বলেন, তদন্ত ছাড়া টাকার পরিমাণ বলা সম্ভব নয়। তবে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, মোটা অঙ্কের সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এটা নিশ্চিত।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুন বলেন, আমার দোষ আমি স্বীকার করেছি, অন্যায় হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাকে সাময়িক চাকরি থেকে বরখাস্ত করে রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, বেনাপোলে ডেপুটেশনে কর্মরত বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে সে একা একসা নাকি সাথে আরো কেউ আছে তা জানতে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এর সাথে দূর্নীতি করে কেউ পারপাবেনা শাস্তি তাকে ভোগ করতেই হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট