বেনাপোলে শশুরের জমি জালিয়াতি ও নকল দলিল করে দখল, হয়রানি এবং হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজ ২৩/৮/২২ মঙ্গবার বেলা ১২ টার সময় যশোর প্রেশক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ রবিউল ইসলাম কালু। তিনি বলেন যে,আমার তফসিলি জমি বেনাপোল মৌজার এস এ খতিয়ান নং২৭৩,আর এস খং নং -৭২৮ নাম পত্তন খ নং ১৩৫৯ এস এ দাগ নং ৬০১, আর এস দাগ নং -৮৮৪ জমির পরিমান -০৫ শতক। ও বোয়ালিয়া মৌজার খতিয়ান নং ১৫ ও ১৬ এস এ নং ১৪৪৯। আর এস নং ৩৩২১ ও ৩৩২২ বিল জমি দাগের ২৪২৫ শতক জমি যাহা আমি আমার পুত্র ইকবাল হোসেনের নামে রেজিস্টি করে দিই। আমার কন্যা মোছাঃ লাভলী আক্তার এর নাম জমিতে উল্অলেখিত করিনাই বা রেজিস্টি করে দেয় নাই। শার্শা সাব রেজিস্টার কর্তৃক যে অবিকল নকল দলিল সরবরাহ করা হয় সেই দলিলের গ্রহিতা শুধুমাত্র আমার ছেলে ইকবাল হোসেনের নাম ছাড়া আমার কণ্যা সন্তানের নাম কিংবা কোন ছবি ছিল না। যার দলিল নং৪১-৭৯ তারিখ – ১২/৬/২০১৬ ইং।চান্সচাল্যকর বিষয়, হচ্ছে, আমার জালিয়াতি জামাই মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু উল্লিখিত তফসিলি জমির দলিলে তার মোছাঃ লাভলী আক্তার (আমার কন্যা) এর নাম এবং ছবি সংযুক্ত করা একটি জাল দলিল আমাকে দেখিয়ে এই জমির গ্রহিতা এখন ইকবাল হোসেন এবং মোছাঃ লাভলী আক্তার। আমি জামায়ের দেখানো দলিলটি যাচাই-বাছাই করে দেখি আমার প্রাপ্ত দলিলের সাথে এর কোন মিল নাই অর্থাৎ দলিলটি সম্পূর্ণ জাল করা হয়েছে। দেখানো দলিলটিতে দেখা যায়,রেজিস্ট্রার তারিখের স্থানে কাটাকাটি, নামের স্থানে কাটাকাটি, স্ট্যাম্প ভেন্ডারের নাম নাসির লেখা হয়েছে যা সঠিক নয়, লাইসেন্স নম্বরও ভিন্ন, জাল নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নম্বর ঢ-১৫৮২২৮২ যা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই জাল দলিলের বিরুদ্ধে আমি বিজ্ঞ সিনিঃ জুডিও ম্যাজিস্ট্রেট বেনাপোল পোর্ট আমলী আদালত যশোর বরাবর মামলা করি। মামলা নং-সিজার ৪৬/২১।প্রতারক এবং জাল দলিল সৃষ্টিকারী মুসলিম উদ্দিন পাপ্পুর বিরুদ্ধে মামলা করায় সে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, আমার বসবাস ভিটার ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন সময় মাস্তান দিয়ে ভয়ভিতি দেখাচ্ছে, প্রশাসন দিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে, মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে, পক্ষান্তরে মাদক সম্রাট মৃত সেলিমের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে তার মাদক ব্যবসা নিজে চালিয়ে যাচ্ছে। আমার মেয়ের উপর বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা বয়ান দিতে বাধ্য করছে। সে মিডিয়ার ছত্রছায়ায় থেকে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রমরমা মাদক পাচার করে চলেছে। আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই, একজন ৬/৭ পাশ হয়ে কি করে একটি জাতীয় টিভিতে সে প্রতিনিধিত্ব করে। এ সকল বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে আজ আমি সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি, সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট আমার একটিই দাবি আমার প্রতারক জামাইকে আইনের আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক তার শান্তির ব্যবস্থা করা হউক।অতএব জনাবের নিকট আকুল আবেদন আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ, আমার বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখে সমাজের নিটক তার মুখোস উন্মোচন পূর্বক আমার সঠিক বিচার পেতে এবং হয়রানির হাত রক্ষা পেতে সহায়তা করুন।আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম কালু।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট