বিরামপুরে আদিবাসী (শাঁওতাল) নারী-পুরুষের মানববন্ধনবিরামপুরে গির্জার নামে দখলকৃত জায়গা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি ও নিজেরা গির্জা ভেঙ্গে নিয়ে গ্রামবাসীর নামে হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার (২৭ আগস্ট) দিঘলচাঁদ গ্রামের ভুক্তভুগি আদিবাসী (শাঁওতাল) নারী-পুরুষরা মানববন্ধন করেছে।বিরামপুর প্রেসক্লাব মোড় হাসপাতাল রোডে মানব বন্ধনে দিঘলচাঁদ গ্রামের মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিশাল মার্ডি জানান, জনৈক ইলিয়াস সরেন চাকুরি ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিয়ে ২০১০ সালে মুচিয়া মার্ডির নিকট থেকে গির্জা নির্মানের জন্য ৩৩ শতক জমি লিখে নেয়। পরবর্তীতে সেখানে ইউনাইটেড বেথেলিক চার্চ নির্মান করা হলেও জমি দাতার পরিবার ও গ্রামের ৩০জন শাঁওতালকে খৃষ্ট ধর্মে দিক্ষিত করার পরও কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে এবং দানের শর্ত ভংগ করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চার্চ চালানো হতো। খৃষ্টধর্মে দিক্ষিতরা পরবর্তীতে শাঁওতাল ধর্মে ফিরে গিয়ে ঐ স্থানে মন্দির করে সেখানে নিজেদের ধর্ম পালন করতে শুরু করেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে গির্জার পালক সুরাই পাওরিয়া গির্জার দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র খুলে নিয়ে যায়। ঝামেলা এড়াতে মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিশাল মার্ডি ঘটনার উল্লেখ করে ২০২১ সালের ১১ আগষ্ট বিরামপুর থানায় জিডি এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। কিন্তু গির্জার পরিচালক ইলিয়াস সরেন বিশাল মার্ডিসহ ১০/১২ জনের নামে গির্জা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন।মামলাটি বর্তমানে বিপিআই তদন্ত করছে। মানববন্ধন থেকে উল্লেখিত হয়রানী মূলক মামলা প্রত্যাহার এবং শর্ত ভঙ্গের কারণে দানকৃত জায়গা দাতার পরিবারকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এতে মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিশাল মার্ডি ও গ্রামের রাম মার্ডি, পাউলুস মার্ডি, ধুমা মার্ডি, মুংলি মার্ডি, রুনিকা মার্ডি, মাইকেল হেমরম এবং অঞ্জলী হাঁসদা বক্তব্য রাখেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট