যশোরে দৈনিক রানার সম্পাদক মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ ২৪ বছরেও শেষ হয়নি।যশোরে দৈনিক রানার সম্পাদক মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ ২৪ বছরেও শেষ হয়নি।যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুলের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে শহর থেকে পত্রিকা দফতরে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে তিনি নিহতহন হত্যাকান্ডের পরদিন মুকুলের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন সুনির্দিষ্ট কাউকে অভিযুক্ত না করে যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলালউদ্দিন আকন্দ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯৯৯ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রহমানের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু অসন্তুষ্ট বাদী এ চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দেন। তার দাবি ছিল, পর্যাপ্ত তদন্ত না করে, কোনো অভিযুক্তের জবানবন্দি রেকর্ড না করে, দুর্বল সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে; যা বিচারে টিকবে না। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জজ আদালত নারাজি খারিজ করলে তিনি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। একপর্যায়ে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমই বাতিল করে দেন।বাদী শিরিন আক্তার এরপর প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে প্রায় দুই বছর পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয় এবং আদালতের নির্দেশে সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি মাওলা বক্স অধিকতর তদন্ত করেন। ২০০৫ সালের ২১ ডিসেম্বর তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ফারাজী আজমল হোসেন ও তরিকুল ইসলাম পান্না নামে দুইজনকে নতুন করে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ মো. শফিকুল ইসলামের আদালতে মুকুল হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়।কিন্তু পরবর্তীতে মামলার দুই আসামি ফারাজী আজমল হোসেন এবং ওয়ার্কার্স পার্টিও তৎকালীন জেলা সেক্রেটারি ইকবাল কবির জাহিদ পৃথকভাবে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।এরপর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় হাইকোর্ট ঘুরে মামলাটি বিচারিক আদালতে এলেও বিচারকাজ শেষ হয়নি আজো।সাংবাদিক মুকুলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর ও প্রেস ক্লাব যশোর। সাইফুল আলম মুকুলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর (জেইউজে) ও প্রেস ক্লাব বেলা ১০ টায় কালোব্যাজ ধারণ, শোকর্যালি, স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা সাড়ে ১১ টায় স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। যশএ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চ্যানেল আইয়ের যশোর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্ঠু।বক্তব্য রাখেন যশোর ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।বক্তব্য রাখেন যশোর প্রেশক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম। বক্তব্য রাখেন দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মোবিনুল ইসলাম মবিন।বক্তব্য রাখেন যশোর সংবাদ পত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যানের সম্পাদক একরামুদ দৌলা। আরো বক্তব্য রাখেন যশোর প্রেশক্লাবের সম্মানিত সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন দৈনিক গ্রামের কাগজের চিফ রিপোর্টার ও সাপ্তাহিক আগামীর কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মানিত সভাপতি এম আইয়ুব। বক্তারা বলেন আর এম সাইফুল আলম ছিলেন একজন সত্য ন্যায়ের সাংবাদিক তিনি যা দেখতেন তাই লেখতেন, তিনি কখনো কারোর কাছে মাথা নতো করেননি।তিনি সব সময় স্বাধীন সংবাদের জন্য কাজ করেছেন। স্বাধীন দেশের জন্য কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের জন্য কাজ করেছেন। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। সব সময় সত্য ন্যায়ের পক্ষে লিখেছেন। তাই তাকে জিবন দিতে হয়েছে। যার হত্যার বিচার আমরা আজো পায়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যশোরের সকল সাংবাদিক বৃন্দ
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট