মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে এস এম ইমদাদুল হক আকলু (৬৫) নামে ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে এস এম এমদাদুল হক আকলু স্থাণীয় নাসু মার্কেট এলাকায় নিহত হন। তিনি মোক্তারপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
জানা যায়, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম এমদাদুল হক আকলু’র নেতৃত্বে একটি মিছিল স্থাণীয় নাসু মার্কেট এলাকায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই কালীগঞ্জ রাথুরা গ্রামের বায়েজিদ হোসেন শেখ সবুর, সামসুল হক, রাকিব হাসান, তামিম, মো. আলামিন, কাপাসিয়া থানার খিলগাঁও গ্রামের আজিজুল হক উরু, নাজক হোসেন, মোরশেদ হোসেন, মজিবুর রহমান, মনির, মারুফ, নাঈম, রাসেল, মো. রাজিন ও বিলগাঁও গ্রামের সিয়াম হোসেন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১১ জন অতর্কিত হামলা করে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই ইমদাদুল হক আকলু মারা যান। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় ৮(৯)২৪ নং মামলা দায়ের করা হয়।
গাজীপুর জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলন বলেন, উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এস এম এমদাদুল হক আকলু নিহতের ঘটনায় আমরা শোকাহত। আমরা তার বিদ্রেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তিনি এস এম এমদাদুল হক আকলু নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতি বিলম্বে অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন বলেন, শুক্রবার সকালে মোক্তারপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম ইমদাদুল হক আকলু নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ৮(৯)২৪ নং মামলা দায়ের করেন। দোষীদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট