নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় ১০ মাস চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন যশোর ডিসি অফিসের সাধারণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ। তারপরও তিনি বেতন- ভাতা ছাড়াই স্ব-পদে বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে তার অতি মনোযোগের কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা কাহিনী। ইতোমধ্যে তাকে কর্মক্ষেত্র থেকে অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন যশোর সদর উপজেলার সফিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে যশোর ডিসি অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ অবসর গ্রহণ করেন। অবসরে গিয়েও তিনি নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছেন। কর্মক্ষেত্র না ছাড়া নিয়ে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে সেবা নিতে আশা সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ থাকলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান তিনিএর কারণে মানুষের মাঝে প্রশ্ন ফিরোজের খুটির জোর কোথায় । দীর্ঘদিন দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত থাকায় অফিসের মায়া ছাড়তে পারছেন না। ওই পদে থেকে তিনি দম্ভ করে বলে বেড়াচ্ছেন, ‘প্রশাসনের স্বার্থে আমাকে এই পদে রাখা হয়েছে’। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিরোজ আহমেদ ডিসি অফিসের সাধারণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা । ওই পদে থেকে তিনি বিভিন্ন শাখার কর্মচারীদের উপর খবরদারি করেন। বিশেষ করে ভূমি অফিসের নাজির,নামজারি পেশকার ও অন্যান্য পদের কর্মচারীদের বদলীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকেন। এর আগে ও একাধিক বার তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় তদন্ত করাও হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ প্রতিবারই তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার একজন বিশ^স্ত সহচর হলেন সংস্থাপন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। তিনিও সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে অসাদাচারণ করে থাকেন বলে জানা গেছে।সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলার সফিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি ফিরোজ আহমেদ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুর্নীতিবাজ। সকলের সাথে তিনি খারাপ ব্যাবহার করেন। অফিসের অন্যান্য কর্মচারীরা তার কাছে জিম্মি। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে এর আগেও লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি। এজন্য অবিলম্বে ওই অসাধু কর্মকর্তার অপসারণ করে দুর্নীতিমুক্ত করার আহবান করেন।
এ ব্যাপারে যোগযোগ করা হলে যশোর ডিসি অফিসের সাধারণ অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ডিসি সাহেব তাকে ওই স্থানে দায়িত্বপালন করতে বলেছেন। তিনি এখানে সেবা দিচ্ছেন। তিনি কোন দুর্নীতি অনিয়মের সাথে জড়িত নন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য এডিসি জেনারেল এসএম শাহিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট