🥢এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশ। যদিও গনতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে তেমন একটা উন্নয়ন দৃশ্যমান নয়!তবুও
বাংলাদেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। এদেশ
কালে কালে শাসিত, শোষিত হয়েছে ডাচ, ওলন্দাজ,
ইংরেজ ও পাকিস্তানিদের শাসন, শোষনে। এদেশ এক প্রচুর
সম্ভাবনাময় দেশ জীব ও বৈচিত্র্য,জনশক্তি, পোশাক খাত, চা, চামড়া শিল্প, সাদা সোনা, ব্লু ইকোনমি।
বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে বহু রকমের প্রতিকুল পরিস্থিতি পার করে এসেছে। ইংরেজ বনিকগন এদেশে ব্যবসা করতে এসে এদেশের লোভী জোচ্চুর মীর জাফরদের লোভের কারনে তাদের সাথে জোগ সাজসে ১৯০ বছর লুটেপুটে খায় নবাবী আমলের বারোটা বাজিয়ে।সর্বশেষ ধর্মের দোহাই দিয়ে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান
(পশ্চিমপাকিস্তান) ও পুর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশ কে স্বাধীনতা দেয়। ১৫ ই আগষ্ট ১৯৪৭ ভারতবর্ষ তথা ইন্ডিয়া কে স্বাধীনতা দেয়। যে ভারত বর্ষ আজ স্বাধীন, সে ভারত বর্ষ বা ইন্ডিয়ার স্বাধীনতাও এসেছে মুসলমানদের হাত ধরে।
যাক সেসব কথা, আসি বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে! ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পুর্ব বাংলা, পুর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ যেটাই বলি, ২৪/২৫ বছর যেটাই বলি, বাংলাদেশ পশ্চিম পাড়া কাছ থেকে বিমাতা সুলভ আচরনই লাভ করেছে। যার প্রেক্ষিতে বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন-যৌবনের বেশির ভাগ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন শুধু পাকিস্তানের দমন-পীড়ন বিমাতা সুলভ আচরনের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করে ও বাংলার মানুষের কল্যানে কথা বলার কারনে। সে অনেক কথা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক বিজয়কেও অস্বীকার করে ও পাকিস্থানী সৈনিক পুর্ব বাংলায় জমায়েত করতে থাকে এবং নির্বিচারে গণ হত্যা চালায়। তখন অবিসম্ভাবী হয়ে পড়ে মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীন হওয়া ও মুক্তি পাওয়ার জন্য যুদ্ধ।
দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধের প্রেক্ষিতেই বিজয় আসে। নবগঠিত একটা ভাঙ্গা অর্থনীতি বা ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, তখন অরাজকতা তৈরী হয় ও মহা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় সবমিলিয়ে বৈতরণী পার হওয়া ছিলো কঠিন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে আমরা জানি। কিন্তু একথাও অস্বীকার করা যায়না যে, আজকের বাংলাদেশে যত রাজনৈতিক দল আছে, সেদিন হাতে গোনা মাত্র কয় টা দল ছিলো। তন্মধ্যে প্রধান দল আওয়ামীলীগ ও জামায়াতে ইসলামী দল ছিলো।
আওয়ামী লীগ যেহেতু পুর্ব বাংলার দল ছিলো আর জামায়াত পশ্চিম পাকিস্তানের দল হওয়ার কারনে মহান মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর বিরোধিতা করাটাই স্বাভাবিক! আর যারা মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত সশস্ত্র সৈনিক (সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা) তাদের অবদান, রক্ত প্রান সম্ভ্রম খোয়ানোর প্রেক্ষিতে প্রেক্ষাপটে তাদের তালিকা করা হয় মুল্যায়ন করার জন্য ও সঠিক হিসাব প্রনয়নের জন্য।জাতি স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু জাতির জনকের স্বীকৃতি পেলেন তখন থেকে যড়যন্ত্র, চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে, চলছে। শেখ মুজিবুর রহমান দলের ভেতরে ও বাইরে যড়যন্ত্র ও চক্রান্তের শিকার হয়ে স্বপরিবারে নিহত হওয়র পরে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন মতে পথে বিভক্ত হয়ে যায়। আওয়ামীলীগ নেতারা দলবদল,আত্মগোপনে চলে যায় অনেকেই।
(তারিখঃ ০১ লা আগষ্ট ২০২৪ঈশায়ী, বৃহস্পতিবার)
✒️🎤এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
কবি-কলামিস্ট, সাংবাদিক-গবেষক,
পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী, চলনবিল, পাবনা।
kdaakash2024pabna@gmail.com
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট