কলমে:আলী আজম
সময়: 17+7=24
হঠাৎ,! আমার স্ত্রী আমাকে বিনয়ের স্বরে বলল ২০০০ টাকা দেবে? হ্যা কিন্তু ,অনুরোধ কোন প্রশ্ন করতে পারবে না আমি কিছুক্ষণ নিশ্চুপ চিন্তা করলাম,কি হতে পারে,কার জন্য টাকা ? ঠিক কি হতে পারে? দীর্ঘ ১৫ বছরের সংসার ? কেন এত প্রশ্ন,বললাম ঠিক আছে টাকা দিচ্ছি পকেট থেকে ১ হাজার টাকার দুইটি নোট বের করে দিলাম আর বললাম অপব্যবহার করো না। তার পর দীর্ঘ ৩ মাস কেটে গেল 2000/টাকার কোন উত্তর তো এলোই না বরং বিভিন্ন কারন উপস্থাপন করে
একাধিকবার 500-300-200-100 এমনি করে
টাকা নিয়েছে। আমি বাইরে তাকে কোন প্রশ্ন
করতে পারছিনা আবার মন থেকে প্রশ্ন মুছে ফেলতে ও পারছিনা। অসস্থি আর যন্ত্রণা কুরে কুরে খাচ্ছে আমাকে আমি নিরুপায়! দীর্ঘ ৩
মাস পর সেই কাঙ্খিত ক্ষণ তিনি মানে আমার স্ত্রী
আমাকে প্রশ্ন করল তুমি আমাকে একটি বার ও জিজ্ঞেস করলে না আমি কেন তোমা থেকে ২০০০|টাকা নিলাম আর কেনই বা প্রতিমাসে তোমার থেকে ৫০০ চারশো তিনশো দুইশ একশ এমনি করে টাকা চেয়ে নিয়েছি ? আমার ভেতরে তখন বিষ বিষ অস্বস্তি অতৃপ্তি কাজ করলেও খুব কষ্টে মনকে সামলে,বললাম ভালোবাসার মানুষকে সবসময় প্রশ্ন করতে নেই। বউয়ের মুখে অস্ফুট হাসি আর চোখের কোণে অনুরাগ দেখে নিজেকে প্রেমিক পুরুষ বোধ করলাম। যাহোক তিন মাস
পরের সেই কাঙ্খিত দিনের আগের রাত ১২ টা
১ মিনিট আমার কেবল তন্দ্রা ঠিক এমন সময়
আমাকে জাগিয়ে দিয়ে বলল যার জন্য বুক চাপড়াও প্রতিক্ষণ এসে গেছে সেই সন্ধিক্ষণ
যাও মুখ ধুয়ে আসো যথা আজ্ঞে সম্বোধনে আমি তাই করলাম অপরূপ দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম আমি আমার প্রেয়সীর দিকে আর তার চোখে যেন আনন্দ অশ্রু বন্যা আমি বললাম কি বলবে বলো এভাবে ঘুম থেকে উঠালে কেন ? সে বলল তুমি এভাবে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছো কেন অবশেষে সে বলল চোখ বন্ধ কর আমি বললাম করবো না সে বলল আহা ! করই না আমি চোখ বন্ধ করলাম সে আমার হাতখানা মুখে চুম্বন করে একটা সোনালী দামী ঘড়ি পরিয়ে দিয়ে বলল,চোখ খোলো; ওগো শুনছো চোখ খোলো
হ্যাপি অ্যানিভার্সারি ডে, আজ ১০ই জানুয়ারী-
আই লাভ ইউ, আমার আর বুঝতে বাকি রইল না সেই 2000-500-300-200-100 টাকার গল্প।
এরপর যা ঘটল আমার লজ্জা হয় বলতে তার পরও বলব,,,চোখ রাখুন ; পার্ট-3তে-‐-,,,—,,,,—।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট