অভয়নগরে চেঙ্গুটিয়া ৭ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই।
অভয়নগরের চেঙ্গুটিয়ার বুড়োর দোকান থেকে বাহিরঘাট সড়কটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। যুগের পর যুগ সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় সড়ক জুড়ে বড় বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই খানা খন্দ গুলোতে জমে থাকে হাটু পানি। আর শুকনো মৌসুমে ধূলোর রাজ্যে পরিণত হয় সড়কটি। ফলে স্থানীয়দের এ সড়কে চলাচলেই বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। সড়ক সংলগ্ন এলাবাসীদের বাড়িতে থাকাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানালেও তাদের দূর্ভোগ নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। সড়কের বেহাল দশার কারনে শিশুরা স্কুলে যেতে চায়না। এলাকায় বিয়ে সাদীসহ সামাজিক অনুষ্ঠান অনেকাংশে বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে অসুস্থ মানুষ এ সড়ক দিয়ে চিকিৎসালয়ে নিয়ে যেতে চরম ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। স্থানীয় লোকেরা জানান, উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের এ সড়কটি দিয়ে চেঙ্গুটিয়া, চাপাতলা, মালোপাড়া, বাহিরঘাট, পালপাড়া-পাকেরগাতি, চেঙ্গুটিয়া পূর্ব, ঠাকুরতলা, সীবানন্দপুর, জগন্নাথপুর, শেখহাটি, নগরঘাট গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। বিশেষ করে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলে ব্যাপক পরিমানে সবজি ও আখচাষ হয়ে থাকে। কিন্তু সড়কটি দিয়ে এসকল ফসল বাজারে আনতে কৃষকদের গলদঘর্ম হতে হয়। প্রতিনিয়ত কৃষি পণ্য বহনকারী ভ্যান, গরুর গাড়ি, নসিমন ও মিনি পিকআপ এর চাকা ভেঙ্গে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সম্প্রতি ওই এলাকায় আগুন লেগে একটি পরিবারের সর্ব¯^ শেষ হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে সড়কটি দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে বিড়ম্বনা হওয়ায় এবং গাড়ি আটকে যাওয়ায় দীর্ঘ সময় লেগে যায় ফলে পরিবারটিকে পথে বসতে হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির ৭ কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সামান্য ইট দেখে ধারনা করা যায় কোন এক সময় সড়কটিতে ইটের সলিং ছিলো। চেঙ্গুটিয়া মহাজের পাড়ার ভ্যান চালক আনিচ মোড়ল বলেন, এই সড়কে ভ্যান চালিয়ে জীবন চালাতাম। একে একে তিন চারবার সড়কের খানা খন্দে পড়ে ভ্যানের ফর ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন ভ্যান চালানো বাদ দিয়ে বাদাম বিক্রি করে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছি। ভ্যান চালক রহিম হোসেন বলেন, রাস্তায় গাড়ি বের করলেই কোন কোন না দূর্ঘটনায় পড়তে হয়। গাড়ি সারাই করতে আয়ের তিনগুন খরচ হয়ে যায়। কৃষক আজিজুর রহমান আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, সার-তেলের অতিরিক্ত দাম গুনে সবজি চাষ করে তা বাজারে নেয়া দূস্কর হয়ে গেছে। ফলে আমার মতো এলাকার শতশত কৃষককে মাঠেই পানির দামে উৎপাদিত সবজি ও আখ বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেন, পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের সকল রাস্তায় সংস্কার করা হবে। তার জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ইয়াফি বলেন, সড়কটির বেহাল দশার কথা জেনেছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আশাকরছি, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা সম্ভব হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট