খবর পদ্মা সেতু ডেস্ক
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক (বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে উপ-পরিচালক, বাগেরহাট) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন, যশোর শহরের পুরাতনকসবা মানিকতলার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে প্রধান ডাকঘরের সাবেক পোস্টমাস্টার আব্দুল বাকী, প্রধান ডাকঘরের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিক বর্তমানে খুলনার ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়ে সংযুক্ত আক্কাছ শিকদার ও যশোর নৈশ ডাকঘরের সাব পোস্টমাস্টার শেখ করিমুল্লাহ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল বাকী যশোর প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পদে থাকাকালীন ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭ জন সঞ্চয়ী গ্রাহকের পাস বই ব্যবহার করে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
আব্দুল বাকী গ্রাহকদের পাস বই নিজের কাছে রেখে ডাকঘরের নথিতে টাকা জমা দেখাতেন। পরবর্তীতে গ্রাহকদের স্বাক্ষর নকল করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শেখ মোহাম্মদ আলী নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১৩ লাখ টাকা উত্তোলনের সময় আব্দুল বাকী ধরা পড়েন। পরে ডেপুটি পোস্টমাস্টার মেহেরুন্নেছা লেজার যাচাই করে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ ঘটনায় একই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের এবং অভিযুক্ত আব্দুল বাকীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন ডাকঘরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে বিষয়টি দুদকের আওতায় পড়ায় দুদক যশোরের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন এবং তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আব্দুল বাকীকে এ টাকা আত্মসাতে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন প্রধান ডাকঘরের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিক আক্কাছ শিকদার ও নৈশ ডাকঘরের সাব পোস্টমাস্টার শেখ করিমুল্লাহ। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট