নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে নোয়াখালীর ৪২ কেন্দ্রে মিলবে ৮৪ মেট্রিক টন চাল।
নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে নোয়াখালী জেলা জুড়ে মোট ৪২ কেন্দ্রে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর ৩ মাসে ভোক্তাদের জন্য মিলবে ৮৪ মেট্রিক টন চাল।
বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী পৌরসভার দত্তের হাট এলাকায় ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে চাল ভিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব একেএম মামুনুর রশিদ। এ সময় জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গতকাল থেকে জেলা শহরসহ সকল পৌরসভা ও উপজেলায় সদরে একযোগে (খোলা বাজারে বিক্রয়) কার্যক্রমের আওতায় চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য প্রতিকেজি চালের মূল্য ৩০ টাকা করে টিসিবি’র কার্ডধারী ভোক্তাগণও কার্ড প্রদর্শন করে ৫ (পাঁচ) কেজি করে মাসে ১০ (দশ) কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। নোয়াখালী পৌরসভায় ১৫টি কেন্দ্র এবং অন্যান্য ৭টি পৌরসভায় ২৫টি কেন্দ্র এবং সুবর্ণচর উপজেলায় ২টি কেন্দ্র মোট ৪২টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে ৮৪ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার ব্যতিত রোববার হতে বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রম আগামী ৩ মাস চলমান থাকবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বাজারে চাল কিনতে না গেলে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, টিসিবি কার্ডধারীরা ওএমএস’র মতো ন্যায্যমূল্যে চাল পাবেন। তাই কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে নোয়াখালী জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১৯৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ৮২৫৫১ জন ভোক্তার মাঝে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ৩ মাস চাল বিক্রয় করা হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য অ্যাপস এর মাধ্যমে ভোক্তার তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫৬৫২৭ জন ভোক্তার তথ্য যাচাই করা হয়েছে
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট