খবর পদ্মা সেতু নিউজ
২২ অক্টোবর রাতে যশোর শহর ও শহরতলীতে অভিযান চালিয়ে আটক শেখ আতিকুর বাবু, শেখ রফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী ঘরানার ৫ জনকে ২৩ অক্টোবর আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট মামলায় তাদের আটক দেখানো হয়। পরে আদালতে আটককৃতদের জামিন চাইলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃত ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে বোমা বিস্ফোরণ করে সম্পত্তি বিনষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে পুলিশ। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আটককৃত আওয়ামী ঘরানার নেতা কর্মীদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তারা ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারেক নাহিয়ান জানিয়েছেন ওই মামলার পলাতক অন্য আসামিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
গত জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্নস্থানে থানা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশি মুভমেন্ট কমে গেলেও ৩ মাস পর আবার মাঠে নেমেছে পুলিশ। গত ১ অক্টোবর রাতে যশোর শহর ও শহরতলীর বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই রাতে আওয়ামী ঘরানার ১৩ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। ২ অক্টোবর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ মামলায় চালান দেয়া হয় তাদের। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চলে যশোর শহর ও শহরতলীতে। এসময় আটক করা হয় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পুরাতন কসবার শেখ আতিকুর বাবু ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক পুরাতনকসবার শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক, বোলপুরের আব্দুস সালাম (৫৪), আরএন রোডের আশরাফুল কবির ও সিটি কলেজপাড়ার শাহ্ আলম। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২৩ অক্টোবর পুলিশ প্রহরায় তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তারেক নাহিয়ান।
তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ আগস্ট বিকেল অনুমান ৫ টায় শহরের আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে এসে লালদীঘির পশ্চিম পাড়ে বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। এ মামলায় আটক দেখিয়ে শেখ আতিকুর বাবু, শেখ রফিকুল ইসলামসহ আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট