দিনাজপুর(খানসামা) প্রতিনিধিঃ রিশাদ হোসেন
সাধারণত খানসামা উপজেলায় আমন ধান রোপনের মধ্যে দিয়ে কর্মহীন ও অলস সময় পার করতে থাকেন কৃষকগণ।কারণ আমন ধানে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য খুব স্বল্প শ্রমিকের পাশাপাশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয় ও অনাবৃষ্টির ঘটনা ঘটলে সেচ দেওয়া এবং হাতে গোনা তিন-চার টি স্প্রে করা হয়।
এ সময়ে কর্মহীন ও আয়ের উৎস বন্ধ হলে কৃষকগণ ছোট,বড় ও মাঝারি আকারের ঋণ নিয়ে চলেন কিছুটা লাগান ফসলে আর বাকি দিয়ে চলে জীবন-জীবিকার নানান কাজে।সকলের এক আশা আমন ধানের বিক্রির টাকা ও কর্মের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে পরিশোধ করবে সকল ঋণ। দীর্ঘ দুই মাসের ও বেশি অলস ও কর্মহীন সময়কে বিদায়ের প্রহর গুনতে শুরু করছিল খানসামা উপজেলা কৃষকগণ।কিন্তূ ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব বদলে দিলো কৃষকের ভাগ্য ধান কাটা ও ধান থেকে লাভবান হওয়ার হিসাবটা চলে গেলো জটিল সমীকরণে।
বাংলাদেশ আর বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের দুর্যোগের কবলে পড়ার কথা আমাদের সু-পরিচিত।দেশের উপকূলীয় এলাকায় যখন ঘূর্ণিঝড় দানা’র সংকেত।ঠিক তখন’ই গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সমগ্র খানসামা উপজেলার মধ্যে দিয়ে হঠাৎ ঝড়হাওয়া ও হালকা বৃষ্টিপাতের মধ্যে দিয়ে গোয়ালডিহি,খামারপাড়া,ভবকি ইউনিয়ন সহ আশপাশের ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় কৃষকের আমন ধানের জমিতে লণ্ডভণ্ড করার চিহ্ন রেখে যায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’।
এ বছর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় ধানের ব্যাপক হয়ক্ষতি হওয়ার পর ও উত্তরাঞ্চলের খানসামায় ধানের বাম্পার ফলন হয় কিন্তূ সোনার ফসল ঘরে তোলার শেষ বেলায় ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব খুলে দিলো কৃষকের ক্ষতির হিসাব খাতা।
কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় : অপরিপক্ক কাঁচা ধান পানিতে লুটিয়ে থাকার ফলে কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়,পাঁকা ধান ঝরে যাওয়া, ধান পাকতে ধীরগতি ও আশার তুলনায় কম ধান পাওয়া এবং ধানের খর গরু,ছাগল,মহিষের খাদ্য হিসেবে অনুপযোগী হবে বলে আশানুরূপ, আমন ধানের লাভের তুলনায় লোকসানে এগিয়ে থাকবে কৃষকেরা বাড়বে ঋণ পরিশোধের বোঝা পাশাপাশি নতুন আবাদের জন্য আর্থিক সংকট।জমিতে জলাবদ্ধতা না থাকলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে আসলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমন ধান কাটার মৌসুম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকগণ ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট