স্টাফ-রিপোর্টারঃ
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা পনেরই আগষ্ট ১৯৭৫ সপরিবারে নিহত হন। তার ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী,সহ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির চারজন দিকপাল, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী,এইচ এম কামরুজ্জামান হেনাকে ১৯৭৫ সালের ৩ রা নভেম্বর(এই চার জাতীয় নেতাকে) কারা অন্তরীন অবস্থায় হত্যা করা হয়।
তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি
ও তাদের রুহের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ফৈলজানা ইউনিয়ন শাখা,
চাটমোহর,পাবনা’র পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ বলেন,আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি সকল শহীদদের যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা আত্মদানের মুল্যায়নে-দানে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা।
সকল দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকদের দেশ সেবা করতে এগিয়ে আসতে হবে । দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য একত্রিত হতে হবে।
দূর্নীতির যাতা কলে পিষ্ঠ হওয়ার কারনে আজ ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হুমকি ধামকিতে স্থবির! না বলতে পারছি আমরা কথা, না পারছি সহ্য করতে! বলতেই হবে কথা!
শেখ হাসিনা যাদের কারনে ফ্যাসিস্ট উপাধী পেয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতাও সৌপর্দ করা উচিত।
শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য রাত দিন কাজ করে গেছেন নিরলস ভাবে। অথচ দূর্নীতিবাজ কিছু এমপি মন্ত্রীদের জিহ্বাকে সংযত না করার কারনে আজকে বাংলাদেশের এহেন পরিস্থিতি ও পরিণতি!
আমাদের মত নিবেদিত প্রান আওয়ামী লীগ কর্মীদের উচিৎ দূর্নীতিবাজ নেতা মুক্ত আওয়ামী লীগকে সংসংগঠিত করা।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির অধিকার এই বাংলা থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবেনা।
দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে,দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী হতে হবে। রাজনৈতিক দলের কর্মীদের গঠন মুলক ভূমিকা উল্লেখযোগ্য হলে, দলকে চাপের মধ্যে রেখে দূর্নীতি মুক্ত থেকে দেশকে রক্ষা করা যায় রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে । দূর্নীতিবাজদের বয়কট করতে হবে, এখনই
দূর্নীতি বাজদের সমাজ ও দেশ থেকে উচ্ছেদ করার উপযুক্ত সময়। দূর্নীতির যাতা কলে আষ্টে-পিষ্টে আটকে ছিলো আমাদের সমাজ! সমাজ থেকে সকল অনিয়ম দুর করতে গিয়ে ছাত্ররা রক্ত ঝড়িয়েছে প্রানের বলিদান দিয়েছে। হয়তো সম্প্রতি আন্দোলনের নামে সরকার বিরোধী, সরকার উৎখাতের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র বিগত কয়েক বছর পুর্ব থেকেই হয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝ থেকে দূর্নীতিবাজদের কে নির্বাসনে যাওয়ার সময় এসেছে। দূর্নীতি মুক্ত আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে হবে।
না পারলে প্রকৃত পক্ষে সকল শহীদের রক্ত-প্রান বলিদান বৃথা হয়ে যাবে…
জাতীয় চার নেতা স্বপ্ন ছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সাথে সাথে শোষন নিপীড়ন দুঃশাসন মুক্ত স্বাধীন সোনার বাংলা বিনির্মান ! অথচ জাতীয় চার নেতাকেও বঙ্গবন্ধুর মতই আত্ম বলিদান দিতে হলো। তাদের প্রাণ বলিদানও ব্যর্থ হয়ে গেছে অনেক আগেই । তাদের আত্মদানের ঋনের মুল্য পরিশোধের সময় এসেছে! আসুন সকলেই আমরা একাত্মতা প্রকাশ করে এগিয়ে যাই সামনে!
আজ ৩রা নভেম্বর “জেল হত্যা দিবসে”
এক কাতারে হাতে-হাত রেখে “শপথ করি”আমরা দূর্নীতি করবোনা- কাউকে দূর্নীতি করতে দেবোনা!
আমরা অন্তত বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ চার সহযোগীর মহাপ্রয়ান দিবসে এই শপথ টুকু করি “শেখ হাসিনা-র নেতৃত্বে যতটুকু দেশ এগিয়েছে! তা ম্লান হয়ে গেছে অসৎ দূর্নীতিবাজ কিছু এমপি মন্ত্রীদের পাপের কারনে। নির্বিচারে শত-শত ছাত্র জনতা দেশপ্রেমের আবেগে বিতর্কিত ব্যক্তিদের গুলিতে প্রান বিসর্জন দিয়েছেন। সেই সকল দূর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের কারনে শত-শত পুলিশকেও জীবন দিতে হয়েছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ছাত্রজনতার জীবন দান ও পুলিশের প্রান উৎসর্গ বিবেকবান মানবতার ইতিহাসে লেখা থাকবে। যদিও বড়ই পরিতাপের বিষয় পুলিশ হত্যার বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যাচ্ছে, মিডিয়াতে একটি বারও পুলিশ হত্যার বিষয়টি তুলে ধরা হয়নি, হচ্ছেনা। ক্ষুধা-দারিদ্যতা, শোষন-নিপীড়ন-প্রবঞ্চনা, দাপট-দূর্নীতি
প্রভাব মুক্ত সমাজ-দেশ গঠনে সচেষ্ট থেকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে সহযোগীতা-কাজ করে যাওয়ার মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি নাগরিকের মাঠে নামা উচিৎ! বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সহাবস্থান নিশ্চিত না করার কারনে দেশের সাম্প্রতিক বিপর্যয়! বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল, মহান মুক্তিযুদ্ধে, ভাষা আন্দোলনে, ছয় দফা সহ প্রগতিশীল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দানকারীনদল। তাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত হবেনা। বরং অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সযোগ এসেছে দেশ সেবায় মেধা খরচ করার। আশা করি ত্যাগী ও বর্ষিয়ান নেতৃবৃন্দ যারা কোন ঠাসা ছিলো এত দিন, তাদের কে রাজনীতি মাঠে নামার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তৃনমুল নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান রাখছি। আমরা আজকে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে এই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমাদের দেশ শোষন নিপীড়ন দুঃশাসন ক্ষুধা মুক্ত হোক! দেশের মানুষ সকলে মিলে মিশে সাম্য মেত্রী স্বাধীনতা সম্প্রীতি বজায় রেখে এগিয়ে চলি অগ্রগতি সাধনের পথে।
এই হোক সুদৃঢ় ও দ্বীপ্ত অঙ্গীকার “জেল হত্যা দিবসের শোকার্ত ক্ষণে”……
বক্তব্য রাখেন মোঃ আমিরুল ইসলাম,
মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, মোঃ উজ্জ্বল হোসেন ভূঁইয়া, বিভিন্ন ইউনিটের কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোঃ আইয়ুব হোসেন
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোঃ হায়াত উজ জামান রাজা(যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,চাটমোহর, পাবনা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট