দিনাজপুর (খানসামা) প্রতিনিধিঃ রিশাদ হোসেন
নতুন উদ্যোক্তারা সবাই সবচেয়ে কঠিন পরিকল্পনা গুলো সহজ করতে বরাবরই তা বাস্তবায়নে সকলে কাছে দৃঢ় এক পরিকল্পনা তুলে ধরে এবং সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে সহজে করতে পছন্দ করে।
পরিচিত একটি লাইন – দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।
লাইনটির সাদৃশ্য ফুটে তুলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা মুহাম্মদ আল-আমীন আনসারী ও তার সহযোগী দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ ও আল আমিন তৈরি করেছেন “রানীরবন্দর এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচিং সেন্টার”।
সোস্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিও দেখে কোয়েল পাখি যুক্ত হয় সখের তালিকায় শখ চড়ে বসে কোয়েল পাখি পালনের।
দিনাজপুরের প্রাণকেন্দ্র রানীর বন্দরের গা-ঘেঁষে থাকা নিজ বাড়িতে একটি ঘর তৈরি করে ১৮০ পিচ কোয়েল পাখি দিয়ে শুরু করে হয় রানীরবন্দর এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচিং সেন্টারে’র পথ চলা মুহাম্মদ আল-আমিন আনসারী’র উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আব্দুল্লাহ ও আল আমিন মিলে বৃহৎ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।
কোয়েল পাখিগুলোকে দেখা-শোনা,সময় মত খাওয়ার দেওয়া ও নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সহ কোয়েল পাখি পালন বিশেষজ্ঞদের সরণাপন্ন হয়ে নানান উপদেশ ও পালনের নিয়ম কানুন জেনে হয়ে উঠেছেন একজন দক্ষ উদ্যোক্তা ।বর্তমানে তিনি নিয়মিত দৈনিক ১৫ থেকে ২০ টি করে ডিম সংগ্রহ করছে।দিনের সাথে বেড়ে চলছে ডিম দেওয়া কোয়েল পাখির সংখ্যা।
মুহাম্মদ আল-আমিন আনসারীর সাথে সাক্ষাৎকারের সময় “রানীরবন্দর এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচিং সেন্টারে’র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি আমাদেরকে বলেনঃ
রানীরবন্দর এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচিং সেন্টার এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো। ইনকবিউটর মেসিনের মাধ্যমে কোয়েল পাখির বাচ্চা ফোটানো,ডিম বিক্রি, কোয়েল পাখি সহজলভ্য করা আর কোয়েলের পাশাপাশি, দেশি মুরগী, হাস, বিভিন্ন সৌখিন মুরগী যুক্ত করা।
কোয়েল পাখির মাংসের হোম ডেলিভারি সার্ভিস শুরু করা।এর মাধ্যমে একদম রেডি মাংস দেওয়া হবে যা সরাসরি রান্না করা হবে।
আশা করি,আমাদের এই কাজের মাধ্যমে বিনিয়োগের সুফল আসতে শুরু করবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট