স্টাফ-রিপোর্টারঃ পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলাধীন ফৈলজানা ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসা অবস্থিত। এ মাদ্রাসাটি ১৯৮০ সালে এবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এমপিও কালীন সময় পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম মেহনত করে শিক্ষাদান করেন ও মাদ্রাসাটি দাড় করান।তৎকালীন শিক্ষক হিসেবে প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ও আলহাজ্ব মোঃ ইব্রাহিম হোসেন আন্তরিকতার সাথে শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা দান করেছেন এখনও তা অনেকেই একবাক্যে স্বীকার করেন।
পরবর্তী কালে ১৯৯৪ সালে এমপিও ভুক্তির সময় আসন জটিলতায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে প্রয়াত আব্দুল হালিম মাস্টার স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অবসর নেন।
এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসাটি ভালো চলছিলো। বরেণ্য ব্যক্তিদের তদারকি ও পরিচালনায় মাদ্রাসাটি ছিলো দলমতের উর্ধ্বে। ২০০১ সাল থেকে মাদ্রাসাটিতে রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদীদের কর্তৃত্ব শুরু হয়।
মাদ্রাসা তহবিলের টাকা ভাগ বাটোয়ারাসহ নানা রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীকালে মোঃ ছকির উদ্দিন অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব পেয়ে সকল মহল থেকে টাকা উদ্ধার করেন।
যথারীতি চলতে থাকে কমিটির কার্যক্রম সরকারি মাদ্রাসা বোর্ড বিধি মোতাবেক। ৩০শে আগষ্ট ২০২৪ হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এলাকায় ১৬ আগষ্ট একটি মার্ডার সংগঠিত হয়।সেই মামলায় হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার সিকিউরিটি গার্ড পদে নিয়োগ পাওয়া মোঃ আনোয়ার হোসেন ১৬ আগষ্টের মার্ডার কেসে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অভিযুক্ত আসামী হয়। মোঃ আনোয়ার হোসেন নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আটক হন ও পরবর্তী কালে আদালত থেকে জামিন পেয়ে গত রবিবার (পহেলা ডিসেম্বর ২০২৪) সকালে সহকর্মীদের সাথে দেখা করতে হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসায় আসেন। হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে অ্যাডহক কমিটির জন্য কাগজপত্র জমা দান কারী বিএনপি নেতা মোঃ আনিসুর রহমান আনিস, মোঃ আনোয়ার হোসেনকে দেখে উত্তেজিত হয়ে বাটাম নিয়ে মাদ্রাসা অফিস কক্ষে আক্রমণ করেন।
মোঃ আনিসুর রহমান আনিস এর আক্রমণ থেকে মোঃ আনোয়ার হোসেন কে রক্ষা করতে গিয়ে হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক মোঃ নবির উদ্দিন আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইল ফোনসেটটি ভেঙ্গে যায়। আনিসুর রহমান আনিসকে বাধা দিতে গিয়ে সিনিয়র শিক্ষক মোঃ শাহেব আলী, দপ্তরী মোঃ শামসুল ইসলাম, অফিস সহকারী মোছাঃ মমতা খাতুন ও আয়া মোছাঃ শাবানা খাতুনও আঘাত প্রাপ্ত হন। এছাড়াও কচুগাড়ী গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন সরদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলামও আঘাত প্রাপ্ত হন।
আনিসুর রহমান আনিস লোকজনকে ডাকতে গেলে সুকৌশলে মাদ্রাসার স্টাফ মোঃ আনোয়ার হোসেনকে শিক্ষক মন্ডলীরা ভাগিয়ে দেন। পরে আনিসুর রহমান তার লোকজনকে নিয়ে দ্বিতীয় বার মাদ্রাসায় এসে উত্তেজিত হয়ে আনোয়ার হোসেন কে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হন, সাধারন জনগন ভীত সন্তোস্ত হয়ে পড়ে ও শরৎগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পরিবেশ মানবাধিকার কর্মী ও গ্রিনপিস বাংলা, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ
উক্ত ঘটনার প্রতি তীব্র নিন্দা ঘৃনা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট