উদ্বোধনের অপেক্ষায় মহেশপুরের দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ।ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নব-নির্মিত মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি রয়েছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতি মধ্যে মসজিদের সব ধরনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, মহেশপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বি-ক্যাটাগরি হিসেবে ৪২ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত। তিন তলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ (টাইপ-বি) যেখানে প্রতি ফ্লোরের আয়তন ১ হাজার ৬৯৯ দশমিক ১৬ বর্গমিটার। ভবনের মোট আয়তন ২৯,৮০০ বর্গফুট। বাস্তবায়নে ব্যয় ১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ এসব মসজিদে থাকছে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হাফেজ বিভাগ, শিশুশিক্ষা, অতিথিশালা, পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কেন্দ্র ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্র থাকছে। ২য় তলায় মূল নামাজ কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ওজুখানা, টয়লেট, উপ-পরিচালকের কক্ষ, হিসাব কক্ষ। ৩য় তলায় পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক নামাজ কক্ষ, মক্তব কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম, শিক্ষক ও সাধারণ কর্মচারীদের কক্ষ, অতিথি কক্ষ। এছাড়াও মেহেরাব, সিড়ি ও একটি সুউচ্চ দৃষ্টি নন্দন মিনার রয়েছে।
সারাদেশে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের অবকাঠামো গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মহেশপুর উপজেলা মডেল মসজিদে একসঙ্গে ৯শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মডেল কেয়ারটেকার কলিম উদ্দিন জানান, মডেল মসজিদ নির্মাণ-বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কেননা এখানে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একটি গবেষণা কেন্দ্র থাকবে। তিনি আরও বলেন মসজিদের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন চলছে ঘঁষামাজার কাজ। ফলে যেকোনো সময় খুলে যাবে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদের দ্বার। এলাকার মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায়ের পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
স্থানীয় পৌর বাসিন্দারা জানায়, আমরা অনেকদিন দেখছি এখানে মডেল মসজিদের কাজ চলছে। পুরো উপজেলায় এটি সর্ব প্রথম সব সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এই মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, মহেশপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন । মহেশপুর উপজেলার মডেল মসজিদের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। খুব শিগগির উদ্ধোধনের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদটি মুসল্লিদের নামাযের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট